এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি-তৃণমূল অভিযোগ, প্রতি অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা, বিতর্ক তুঙ্গে

বিজেপি-তৃণমূল অভিযোগ, প্রতি অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা, বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অন্যান্য বারের মতন একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও যথাযথভাবে সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে অশান্তির আবহ। অবশ্য বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য জুড়ে চলছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, বোমাবাজি, অশান্তি। নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই অবশ্য বলে আসছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে। 

কিন্তু দিনের শেষে নির্বাচন কমিশনের সেই আশ্বাসবাণী ক্রমশ প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে আজ প্রথম দফার ভোট। গতকাল রাত থেকেই চলছিল গন্ডগোল। তৃণমূলের অভিযোগ- গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে ভোট দিতে গেলে তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে দেওয়া হবে।

অবশ্য বিজেপি এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা চলেছে দিনভর। পাশপাশি দু’দলের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর সমানতালে বেড়ে গেছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়।

 তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা অভিযোগ করেন, তাঁদেরকে বিজেপি শিবিরের কর্মীরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ভোট দিতে গেলে তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই হুমকির খবর সামনে আসায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, গত রাতে তাঁর বাড়ির সামনে 4 টি বোমা ফাটানো হয়। ভয়ে আতংকে দিশেহারা হয়ে গেছে গোটা এলাকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এবারের ভোটে নজিরবিহীন কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত। যেসব জায়গায় আজকে ভোট হচ্ছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার কথা। তাহলে বোমাবাজি এবং হুমকি কিভাবে অবাধগতিতে চলল? সেসময় কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? অন্যদিকে ভোট দিতে না পেরে এলাকার মহিলারা মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।

তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভোট দিতে গেলে গোটা গ্রাম একসাথে যাবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরে তাঁদের আশ্বস্ত করলেও কোনো কাজ হয়নি।তবে ভোটারদের এভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাঁরা বরং পাল্টা অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। মানুষ ভয় পেয়ে গেছে।

বিজেপির দাবী, তাঁরাই উল্টে মানুষকে বুথে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তেজনা আরো বেড়েছে বৈ কমেনি। সব মিলিয়ে বলা যায়, রাজ্যের প্রথম দফা ভোটের শুরু কিন্তু খুব একটা ভালো হলোনা। দিনের শেষে শেষপর্যন্ত ভোটের জন্য রক্তপাতের ঘটনা এড়াতে পারল না বাংলা। সামনে সাত দফা ভোট আসছে। এবং দ্বিতীয় দফায় রয়েছে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। সবার নজর এখন সেদিকেই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!