এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপি-তৃণমূলকে রিঙের বাইরে ছুঁড়ে ফেলতে মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত বাম-কং জোটের?

বিজেপি-তৃণমূলকে রিঙের বাইরে ছুঁড়ে ফেলতে মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত বাম-কং জোটের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমশ কোণঠাসা হতে যেতে শুরু করে বাম ও কংগ্রেস শিবির। বলা যেতে পারে, রাজ্য রাজনীতিতে এই দুই দল তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা হারায়। কিন্তু একুশে বিধানসভা নির্বাচন সামনে আর তাই আবার বাম ও কংগ্রেস শিবির লড়াইতে নেমেছে। বলা যেতে পারে বাম কংগ্রেস জোট এবার বিজেপি এবং তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে জোরদার তৈয়ারিতে নেমেছে। সে ক্ষেত্রে বাম কংগ্রেস জোট নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা সারা এবং বাম কংগ্রেস জোট মান্যতা পেতেই তড়িঘড়ি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হতে চলেছে তাই নিয়েই বড়োসড়ো সিদ্ধান্তের ঘোষণা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। 

বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ঘোষণা শুরু হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গেছে তীব্র গুঞ্জন। জোট হচ্ছে এই ঘোষণার অবব্যহিত পরেই পুরুলিয়া জেলা বাগমুন্ডি থেকে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের ডেপুটি লিডার তথা বিধায়ক নেপাল মাহাতো টুইট করে জানান, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে জোটের হয়ে দাঁড়াবেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম সামনে আসার সাথে সাথেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গেছে সমালোচনা। বৃহস্পতিবার দুপুরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী নির্বাচনী জোট যে হচ্ছেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেন টুইটে।

আর তারপরেই পাল্টা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কংগ্রেসের মধ্যেই শুরু হয়েছে এই নিয়ে গুঞ্জন। কংগ্রেসের একাংশের মতে, জোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে যে দাবি করা হয়েছে তা অবশ্য জোটের ধারণার বিপরীত। আগে থেকেই যদি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বলে দেওয়া হয়, তাহলে জোটের উদ্দেশ্য ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের কথা। সে সময়ে জোট হলেও রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদে আসন বন্টন নিয়ে গন্ডগোলের জেরে জোট সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার কে হবে তাই নিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, জোটের সিদ্ধান্ত যদি এআইসিসি নিয়ে থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি সংক্রান্ত ব্যাপারটিও তাঁদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হোক। তবে বামফ্রন্টের শরিকদলগুলির কেউই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার সংক্রান্ত টুইটটি নিয়ে মাথাঘাতে এইমুহুর্তে রাজি নয়। এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্টের সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জোটের অন্দরে। অন্যদিকে বালুরঘাটের প্রবীণ বিধায়ক তথা আরএসপির রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, অনেকেই অনেক রকম দাবি করেন।

কিন্তু সব দাবি মান্যতা পায়না। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক যে কথা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত বলেই ধরে নেওয়া হোক। অন্যদিকে আবার ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় এ ব্যাপারে কিছু না বলে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর ওপর। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সে ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন অধীর শিবির থেকে পরোক্ষভাবে বাম শিবিরের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এভাবেই টুইট করা হয়েছে।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই মনে করছেন, বাম কংগ্রেস জোটের লক্ষ্য কিন্তু বিজেপি এবং তৃণমূলকে সরিয়ে দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসা। কিন্তু সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে যেভাবে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা যদি আরও বাড়ে তাহলে কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সময় জোট যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ঠিক সেরকমই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হওয়া অসম্ভব কিছু না। সেক্ষেত্রে পারতপক্ষে সুবিধা হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!