এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ২০১৮-তেই বিজেপি ভোকাট্টা ফের বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক ব্যানার্জী

২০১৮-তেই বিজেপি ভোকাট্টা ফের বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক ব্যানার্জী

জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এদিন ফের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার ছাতনায় একটি দলীয় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানেই জনসভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি অবস্থাকে কটাক্ষ করলেন তিনি।

বললেন,’বাংলায় মণ্ডা মিঠাই খেতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের রসগোল্লা আর বিরিয়ানি এদের হাতছাড়া হয়েছে।’ পাশাপাশি বিদ্রুপের সুর আরো চড়া করে বললেন,২০১৯ এর বিজেপি ফিনিস একথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তার আগেই ২০১৮ তে ভোকাট্টা হয়ে গেল বিজেপি। এর সঙ্গে জুড়ে তিনি ফের বিজেপিমুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিলেন এদিন।

এবং বিজেপিকে নিশানা করে বললেন,’অহংকারও ঘুড়ির মতো। যত তাড়াতাড়ি উঠবে। ততো তাড়াতাড়ি ভোকাট্টা হয়ে বেরিয়ে যাবে।’ এদিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ সহ জেলা নেতৃত্ব ও দলেরসর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিরা।

এদিন বিজেপির সরকারের আমলে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার রাজনীতির বিরুদ্ধে সবর হতে গিয়ে সিপিএমকে একহাত দিয়ে দিলেন যুবনেতা। বললেন,সিপিএম ইনকিলাব জিন্দাবাদের শ্লোগান তুলে ‘আমরা খাবে তোমরা বাদ’ এই নীতি নিয়ে ৩৪ বছর এ রাজ্যে হুকুম চালিয়েছে। আর এখন বিজেপি ‘জয় শ্রীরাম’ বুলে আউরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে যুবনেতা বললেন,’জয় শ্রীরাম দাঙ্গা করাই একমাত্র কাম।’

এরপর সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে বলেন,ভারতবর্ষে দুবার লুঠ হয়েছে। একবার হয়েছে ইংরেজদের আমলে। আর এখন বিজেপি সরকার লুঠতরাজ চালাচ্ছে। এ দেশে ইংরেজদের পরিনতি সকলেরই জানা। এবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই বিজেপিকেও দেশছাড়া করার হুঁসিয়ারী দিলেন তিনি। অর্থাৎ ১৯’এর লোকসভা ভোটই এবার বিজেপির পতন ডেকে আনবে,এমনটাই বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

পাশাপাশি বিজেপির বহুচর্চিত রথযাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করতে ভুললেন না বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। বললেন,”রথ না, সেভেন স্টার হোটেল। এরা গাধাকে দেখিয়ে বলছে ঘোড়া। আর একটা বাসকে বলছে রথ! বিজেপি দিল্লী থেকে একটা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সাত তারা বাস এনে বলছে রথ!”

অর্থাৎ যুবনেতার বক্তব্য গণতন্ত্র বাঁচাও অভিযানে এতো বিলাসবহুলতার প্রয়োজন হয় না। বিজেপি যে রথযাত্রা কর্মসূচিকে সামনে রেখে বাংলায় বিভেদের রাজনীতিকে উস্কে দিয়ে চায়,সেটাই তার প্রমাণ। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই প্রেক্ষিতে যুবনেতার প্রশ্ন,যখন বাংলার বুকে সিঙ্গুর,নন্দীগ্রামে হত্যালীলা চালাচ্ছিল বামেরা তখন কোথায় ছিল গণতন্ত্র বাঁচাও রথযাত্রা?

বাঁকুড়া জেলাতেই নাকি একসময় অমিয় পাত্ররা প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ভোট করিয়েছিলেন অারএসএস,বিজেপির কোনো প্রতিনিধিকে গনতন্ত্র বাঁচানোর তাগিদে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। খুঁজে পাওয়া যায়নি মোদিকেও। আর এখন বিজেপি রাজ্যে গণতন্ত্র বাঁচাও অভিযান নিয়ে মাতামাতি করছে! কটাক্ষ অভিষেকের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
  প্রসঙ্গত,এদিন যুব নেতা তাঁর বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশেই বিজেপি এবং কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। সমালোচনায় মুখর হন মোদি-শাহ-দিলীপ ঘোষেদের। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয় নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না। পাশাপাশি ১৯’এর ব্রিগেড সমাবেশে জেলা থেকে রেকর্ড পরিমান মানুষকে যোগ দেওয়ার আবেদনও জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!