এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিহার-মধ্যপ্রদেশ থেকে শিক্ষা নিয়েই কি বাংলায় ঝাঁপাবেন অমিত শাহ? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

বিহার-মধ্যপ্রদেশ থেকে শিক্ষা নিয়েই কি বাংলায় ঝাঁপাবেন অমিত শাহ? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বেশকিছু রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার পরেই বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং বাংলার নির্বাচন আছে, একথা মাথায় রেখে ময়দানে নেমে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে অনলাইনে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য অমিত শাহ।

কিন্তু অনলাইনে ভার্চুয়াল সভায় যে খুব একটা কাজ হচ্ছে না, তা বুঝতে পেরেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কেননা এই ভার্চুয়াল সভায় অনেকে অংশগ্রহণ করলেও, সেখানে ঠিকমত আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে বেশ কিছু সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিহারে প্রতিদিন 3 থেকে 4 টি করে ভার্চুয়াল সভা করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে অনলাইন সভার মধ্যে দিয়ে একদিকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু একাংশ বলছেন, এর ফলে নেতা-কর্মীরা তাদের মতামত জানাতে অনেকটাই দ্বিধাবোধ করছেন। ফলে সমস্যা সমস্যার জায়গাতেই থেকে যাচ্ছে। একই অবস্থা মধ্যপ্রদেশেও। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার ভার্চুয়াল সভার পাশাপাশি ছোট ছোট করে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ কর্মীদের মতামত শুনবেন বলে খবর। অর্থাৎ বিজেপি চাইছে যে, শুধুমাত্র আর ভার্চুয়াল সভার মধ্য দিয়ে প্রচার-প্রসারকে সীমাবদ্ধ না রাখতে। তারা এবার সরাসরি ময়দানে নেমে সামনে যে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেখানে ভালো ফল করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

এক্ষেত্রে বিহার, মধ্যপ্রদেশের পর যেহেতু বাংলা বিজেপির পাখির চোখ, তাই বাংলাতেও অনলাইন সভা করার পাশাপাশি গেরুয়া শিবির এখন ধীরে ধীরে পথে নেমে মানুষের সাথে জনসংযোগ করবে বলেই আশা করছে একাংশ। কেননা বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম হলেও, যুবরা সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর বেশির নির্ভরশীল। সেদিক থেকে অনেক মানুষ এখনও পর্যন্ত সরাসরি কথা বলতেই বেশি আগ্রহী। তাই সেই দিকটিকে ধরেই এবার ভারতীয় জনতা পার্টি নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করতে চাইছে।

অর্থ্যাৎ গেরুয়া শিবির চাইছে, যেনতেন প্রকারেণ বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং বাংলায় ভালো ফল করতে। ফলে অনলাইন সভার পাশাপাশি এবার জনসংযোগের উপর জোর দিয়ে বিহার, মধ্যপ্রদেশে কাজ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর তারপরে বাংলাতেও যে তারা একই ফর্মুলা পালন করবে, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোরই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে বিজেপি তাদের জনসংযোগ রক্ষা করে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!