লড়াইটা ‘দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে, বিজেপির সংগঠনে তুলে আনা হবে একগুচ্ছ স্বচ্ছ কম ও অপরিচিত মুখ কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 14, 2019 রাজ্য বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এবার বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন আসন্ন। একেবারে রাজ্যস্তর থেকে শুরু করে নীচুতলা পর্যন্ত নাকি সংগঠনের খোলনোলচেই বদলে যাবে। আর সেই খবর নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই, পদ পাওয়ার জন্য তদ্বির শুরু হয়ে গেছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে। কেউ ধরছেন রাজ্য বা দিল্লির হেভিওয়েট নেতাদের, কেউ বা সঙ্ঘকে। কিন্তু, কারা পাবেন বিজেপির সংগঠনে ঠাঁই। সূত্রের খবর, এবারের সাংগঠনিক পরিবর্তনে বড়সড় ভূমিকা নিতে চলেছে সঙ্ঘ। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ একাধিক মুখ যেমন দেখা যাবে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে, তেমনই দেখা যাবে একগুচ্ছ স্বচ্ছ অথচ কম বা অপরিচিত মুখকেও। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট মানুষ দুর্নীতি নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। মানুষ শান্তির পাশাপাশি দুর্নীতি মুক্ত সমাজে কর্মসংস্থান নিয়ে মরিয়া হয়ে আছে। আর তারই প্রতিফলন ঘটেছে ভোটবাক্সে। এদিকে, বিজেপির এতদিন সংগঠন সামলানো বহু নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে দলীয় স্তরেই। বহু জেলা সভাপতি বা মন্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে পার্টি অফিসেই। ফলে, সেইসব অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া খুবই খারাপ হয়েছে। মোটামুটি ধারণা, এখনই এই, ক্ষমতায় এলে না জানি কি হবে! যদিও এই নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না, কিন্তু এই ‘ফিডব্যাক’ খুব কড়া ভাবেই গ্রহণ করেছে বিজেপি বা সঙ্ঘ নেতৃত্ব। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁদের স্পষ্ট কথা, বর্তমান শাসকদলের বহু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেই কাটমানি থেকে শুরু করে আরও বড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দিকে দিকে সেইসব জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি ঘেরাও করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সেই একই অভিযোগের লোকেদের যদি বিজেপিও সংগঠনের মাথায় বসায়, তাহলে ভুল বার্তা যাবে মানুষের কাছে। ফলে, কে কোন গোষ্ঠীর নেতা বা কোন রাজ্য-কেন্দ্রীয় নেতার ঘনিষ্ঠ তা নিয়ে মোটেই ভাবিত নয় সাংগঠনিক পরিবর্তন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলা আধিকারিকেরা। তাঁরা বিভিন্ন সূত্র থেকে দলীয় কর্মীদের সব তথ্য নিজেদের কাছে জমা করছেন। তারপর তা হচ্ছে ডাবল বা ট্রিপল চেক। যদি, সব জায়গা থেকেই ‘পজিটিভ ফিডব্যাক’ আসছে তখনই সেই সংশ্লিষ্ট নেতা বা কর্মীর নাম সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ভাবা হচ্ছে। এরপর দেখা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মোট কতগুলি এরকম স্বচ্ছ মুখ পাওয়া গেছে, সেখান থেকেই বাছাই করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভূমিকা কি ছিল তার চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে। তাহলে কি পুরোনো কর্মীরা একেবারেই ব্রাত্য? বিজেপি সূত্রের খবর, মোটেই না! যাঁদের পক্ষে সৎভাবে কাজ করার রিপোর্ট আছে, তাঁদেরকেই মাথায় করে রাখা হবে। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমান আছে, তাঁদেরকেই সরে যেতে হবে, তা তিনি যতই পুরোনো কর্মী হন না কেন! সবমিলিয়ে, গেরুয়া শিবির খুব সন্তপর্ণে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজানো শুরু করে দিয়েছে। কর্মীদের কাছে নাকি বার্তা গেছে, বিধানসভা নির্বাচন সময়ের আগেই হয়ে যেতে পারে। আর তাই দক্ষ ও স্বচ্ছ মুখেদের সংগঠনে বসিয়েই বিধানসভা নির্বাচনের নীল নকশা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, আগস্ট মাস পর্যন্ত চলবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান, তারপরে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে সাংগঠনিক সবরকমের পরিবর্তন। নতুন পদে বসে পুজোর দুটো মাস নতুন কার্যকর্তারা নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন, আর তারপরে ডিসেম্বর থেকেই ‘মিশন বিধানসভা’ নিয়ে আসরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে তাঁদের। আপনার মতামত জানান -