এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্ণাটক এখনই গেরুয়া হচ্ছে না? বিধায়ক কান্ডে নতুন পদক্ষেপে নতুন মোড় দক্ষিণের রাজনীতিতে

কর্ণাটক এখনই গেরুয়া হচ্ছে না? বিধায়ক কান্ডে নতুন পদক্ষেপে নতুন মোড় দক্ষিণের রাজনীতিতে


স্বস্তি ফিরল কর্নাটকের কংগ্রেস শিবিরে। ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কাকে মিথ্যা প্রমাণ করে হদিশ না পাওয়া ৫ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ৩ জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। তবে বাকি দুজনের কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে বেশ উদ্বিগ্নই হয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তাঁর সেই উদ্বেগের ইতি ঘটিয়ে বুধবার বিকালেই রাজ্যে ফিরে এলেন দু’জন। দিন কয়েক ধরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, কর্ণাটকের জোট সরকারের ঘর ভাঙার জন্যে বিজেপি নাকি মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এমনকি, কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টানার জন্যে মোটা টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিল গেরুয়া শিবির কর্তারা – এমন জল্পনাও ছিল আকাশে-বাতাসে। তবে সেসব জল্পনায় জল ঢেলে অবশেষে ঘরেই ফিরে এলেন কংগ্রেস বিধায়করা। সম্প্রতি কর্নাটকের কংগ্রেসের ঘর ভাঙার ইঙ্গিত পেয়ে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছিল এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন সরকারের। কর্নাটক কংগ্রেসের এক প্রভাবশালী নেতা ডি কে শিবকুমার প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছিলেন তাঁর দলের তিন বিধায়ককে মুম্বাইয়ে আটক করে রেখেছে বিজেপি।

তাঁদের সংগঠনে ফাটল ধরিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে বিজেপি এমন জল্পনা ছিল সর্বত্র। এরপর কংগ্রেসের আশঙ্কাকে সত্যি করে হঠাৎ করেই ৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক উধাও হয়ে যান। জল্পনা ছড়ায়, রাজস্থান বা উত্তরাখন্ডের মতো বিধায়কদের ‘অপহরণ’ করে নিজেদের দল ভারী করতে চাইছে বিজেপি। কর্ণাটককে গেরুয়াকরণ করতে চাইছে পদ্মশিবির। এই ঘোর সংকটের ইঙ্গিত পেয়ে ঘর গোছাতে তড়িঘড়ি করে জরুরি বৈঠকেরও ডাক দিয়েছিলেন কর্ণাটক কংগ্রেস নেতৃত্বরা। তবে পরে অবশ্য জানা যায়, তাঁরা মুম্বাইয়ের একটা হোটেলে রয়েছেন।

সবথেকে বড় কথা তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও রেখেছেন। তবে এই প্রেক্ষিতে কর্ণাটক সরকারের তরফ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলা হয়, যদি কোনো বিধায়ক লোকসভা ভোটের আগে দলের সঙ্গে প্রতারণা করে বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে তাহলে দলবিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, এই ইস্যুতে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতেও ভোলেনি কুমারস্বামীর সরকার। কংগ্রেস মুখপাত্র ডি কে শিবকুমার জানান, ‘আমরা সব খবরাখবর রাখছি। কী যড়যন্ত্র চলছে, আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্যদের কত টাকা অফার করা হয়েছে, তাও জানি’।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, এই বিধায়কদের আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার খবর দিল্লিতে পৌঁছাতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন খোদ রাহুল গান্ধীও। তিনি কালবিলম্ব না করে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বর্ষীয়ান এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠান বেঙ্গালুরুতে। আর তারপরেই প্রথমে তিন জন বিধায়কের খোঁজ মিললেও, ২ জনকে নিয়ে সংশয় ক্রমশ বাড়তে থাকতে। এসবেরই মাঝে জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেন দুজন নির্দল বিধায়ক। এই অবস্থা বিজেপি আবার মন্তব্য করে বসে, এবার জেডিএস ঘোড়া কেনাবেচায় নেমেছে।

এমনকি বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়, দুজনের সমর্থন পেতে তাঁদের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এর পাশাপাশিই নিজেদের বিধায়কদের সুরক্ষিত রাখতে গুরুগ্রামের একটি হোটলে গোপনভাবে রাখা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে। তবে প্রকাশ্যে বিজেপি জানায়, লোকসভা ভোটের দলীয় রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করতেই তাঁদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতিতে চিন্তিত থাকলেও তা প্রকাশ্যে আনেননি মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে এমন কোনো বেফাঁস মন্তব্যই করতে চাননি তিনি যাতে বিজেপি অক্সিজেন পায়।

উল্টে মিডিয়ার সামনাসামনি হয়ে দাবী করেন, কর্ণাটকের জোট সরকার ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই। কংগ্রেসের সব দলীয় বিধায়করাই সঙ্গে রয়েছেন। দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্যে জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছে এখনো একবছরও হয়নি। তারমধ্যেই বহু চাপানউতোর চলছে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের অন্দরে। এই সরকার আদৌ কতদিন টিকবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বহু দুঁদে রাজনীতিকরা। সাম্প্রতিক এই ঘটনা লোকসভা ভোটের প্রক্ষিতে তাঁদের সেই সন্দেহেই ফের হাওয়া দিল। তবে, গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরা যেমন ভাবছিলেন যে আজই কর্ণাটকে পদ্ম ফুটবে – আপাতত তা আর হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!