এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক এলাকায় এসে হুমকি দেওয়ার পরেই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর শুরু!

হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক এলাকায় এসে হুমকি দেওয়ার পরেই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর শুরু!

শাসকদলের নেতা উস্কানি দিলে কর্মীরা যে চাঙ্গা হয়ে ওঠে, তা কারোরই অজানা নয়। তবে নেতার উস্কানিতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ঘুম যে অনেক ক্ষেত্রেই উড়তে শুরু করে, তা বারে বারে প্রমাণিত হয়েছে। আর এবার দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর হুঁশিয়ারির 24 ঘন্টার মধ্যেই ভেটাগুড়িতে‌ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বলে পরিচিত ভেটাগুড়িতে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলেছে। বিভিন্ন সময় তৃণমূল বনাম বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষ। গত শুক্রবারই সেই ভেটাগুড়িতে গিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিলেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। আর উদয়নবাবুর এই হুঁশিয়ারির 24 ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে সন্ত্রাস বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল।

জানা যায়, এদিন দিনহাটার বাসন্তীরহাটে শাসকদলের পার্টি অফিসের সামনে থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। যার জেরে প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ভেটাগুড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ বর্মনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আর এতেই চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। আর তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি পরেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মণ বলেন, “শুক্রবার এলাকায় দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে মিছিল করে পথসভা থেকে তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিকে হুমকি দেন। আর ওই হুমকির পরেই তার দলের দুষ্কৃতীরা উৎসাহী হয়ে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে। ওই বাড়িতে থাকা এক মহিলাকে ওরা বেধড়ক মারধর করেছে।” যদিও বা বিজেপির এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে ভেটাগুড়ি 2 অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সুনীল রায় সরকার বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের ফলে এমন হয়েছে। বিজেপির লোকের নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করে আমাদের নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে।” তবে তৃণমূল নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এলাকায় এসে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেই বিজেপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা যে তৃণমূলের দিকেই বড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

লোকসভা নির্বাচনে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বহু হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক বিপুল ভোটে পিছিয়ে আছেন নিজের এলাকায়। কিন্তু, তারপরেই ৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। আর এরপরেই গোটা রাজ্যের পাশাপাশিই উত্তরবঙ্গেও প্রবল রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এখন সন্ত্রাস, পাল্টা সন্ত্রাসের রাজনীতি কবে বন্ধ হয় দিনহাটায়! সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বাসিন্দারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!