এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশের অভিযুক্তের তালিকায় মৃত বিজেপি কর্মীদেরও নাম! ন্যাজাটে সিবিআই তদন্তের দাবি ক্রমশ জোরালো

পুলিশের অভিযুক্তের তালিকায় মৃত বিজেপি কর্মীদেরও নাম! ন্যাজাটে সিবিআই তদন্তের দাবি ক্রমশ জোরালো


এ যেন শর্ষের মধ্যেই ভূত। সন্দেশখালিতে মৃত বিজেপি কর্মীদের নামই এবার অভিযুক্তদের তালিকায় ঢুকিয়ে দিল পুলিশ। যা নিয়ে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, পুলিশ প্রশাসন শাসকের দলদাস হয়ে গেলে তারা ঠিক কতটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিতে পারে, তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল।

বস্তুত, লোকসভা ভোটের ফলাফল মেটার পর রাজ্যের নানা জায়গায় নানা সংঘর্ষের সৃষ্টি হলেও সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনা নজর কেড়েছে সকলেরই। গত শনিবার এই সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষে 2 বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মন্ডলের মৃত্যু হয়।

তবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ি থেকে কোপ মেরে ধাওয়া করলেও এখনও পর্যন্ত তিনি বেঁচে আছেন নাকি মরে গেছেন তা জানেন না নিখোঁজ বিজেপি কর্মী দেবদাস মন্ডলের পরিবার। পরিবারের দাবি, “তৃণমূলের লোক যদি ওকে মেরেই ফেলে তাহলে ওর মৃতদেহ আমাদের কাছে নিয়ে আসা হোক। একবার আমরা শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সোমবার এই গ্রামের নিহত বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মন্ডলের মৃতদেহ যখন দাহ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই সন্দেশখালির ডাঁসা নদীতে কোনো একটি বস্তা ভেসে আসতে দেখে সেখানে দেবদাস মন্ডলের মৃতদেহ রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, কোনো মৃতদেহ সেখান থেকে পাওয়া যায়নি। কিছু পুলিশের বক্তব্যে এখন বিশ্বাস হারিয়েছে রাজ্যের সিংহভাগ মানুষই।

কেননা যে দুজন বিজেপি কর্মী ইতিমধ্যেই খুন হয়েছেন, সেই প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মন্ডলের নামও থানায় অভিযোগ হিসেবে দায়ের হয়েছে। আর যে ঘটনায় এখন ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, তাহলে কি এই রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে খুন হলেও সেই মৃতদের আত্মা শান্তি পাবে না! দুই বিজেপি কর্মী মারা গেলেও তাদেরকে যেভাবে অভিযুক্তের খাতায় রাখা হল! তাতে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।

বিরোধীদের দাবি, আইনের শাসন না থাকলে রাজ্যে এই ঘটনাই ঘটে। নিজেদের দোষ ঢাকতে রাজ্যের শাসক দল এতটাই উদগ্রীব হয়ে পড়েছে যে, মৃত জীবিতর মধ্যে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাচ্ছে না। আর তাইতো বিজেপি কর্মীদের নামেও পুলিশের খাতায় অভিযোগ পড়ছে।

গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। কেননা এত বড় রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং একের পর এক খুনে এলাকায় এখন থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সকলের মনে বিচারের বিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে সিবিআই তদন্ত অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!