এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > গোয়ালতোড়ে বিজেপি কর্মী খুনে সামনে এল নতুন তত্ত্ব! জানুন বিস্তারিত

গোয়ালতোড়ে বিজেপি কর্মী খুনে সামনে এল নতুন তত্ত্ব! জানুন বিস্তারিত


5 ই সেপ্টেম্বর মহাসমারোহে প্রায় সব জায়গাতেই পালিত হয় শিক্ষক দিবস। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সেই
শিক্ষক দিবসের রাতেই নিজের বাড়িতেই রহস্যজনকভাবে খুন হয়ে গেলেন এক বিজেপি কর্মী সূত্রের খবর, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম খোকন মাণ্ডি, পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। বাড়ি গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত ভগ্নাডাঙা গ্রামে।

শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ির বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে বিজেপি কর্মীর এই মৃত্যু নিয়েই এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রথমে এই গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক খুন বলে প্রচার করা হলেও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাফজানিয়েছেন, “এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে খোকন মান্ডি খুনের ঘটনায় পুলিশ সেই নিহতেরই স্ত্রী রুপালি মাণ্ডি এবং খুড়তুতো ভাই শংকর মাণ্ডিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাশের কথায়, “সব বিষয়ে আমরা রাজনীতিকে টেনে আনতে চাই না। বাড়ির বারান্দায় তিনি খুন হলেন, আর বাড়ির কেউ তা জানতেই পারলেন না, সেটাও একটা রহস্য। পুলিশের কাছে আবেদন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক।”

প্রসঙ্গত, একসময় সিপিএম করলেও বর্তমানে বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন এই খোকন মাণ্ডি। গোয়ালতোড় থানা এলাকা হলেও তার বাড়ি গড়বেতা এক নম্বর ব্লকের আমকোপা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভগ্নাডাঙায়। প্রাইভেট টিউশন করেই তিনি তার সংসার চালাতেন।

এদিন যখন এই ঘটনা ঘটে, সেই সময় বাড়িতে ছিলেন বাড়িতে ছিলেন খোকন মাণ্ডি এবং তাঁর স্ত্রী। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবস থাকায় সন্ধেবেলা টিউশন সেরে অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু দেরিতেই, রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন এই বিজেপি সদস্য। তাঁর স্ত্রী রুপালিদেবীর বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, তিনি বাড়ির ভিতর ঘুমোচ্ছিলেন আর তাঁর স্বামী বারান্দায় ঘুমোচ্ছিলেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি তার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখেন। আর তখনই তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। তবে রুপালিদেবীর এই বক্তব্যকে বিশ্বাস করছে না পুলিশ। খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের ইঙ্গিত পেয়েছে। তাদের দাবি, প্রায় তিন বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন রুপালিদেবী ও তাঁর দেওর শংকরবাবু। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাঁদের বেশ কয়েকবার দেখেও ফেলেন খোকন মান্ডি। যা নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তাই এবার পথের কাঁটা খোকন মান্ডিকে পৃথিবী থেকে সরাতেই এই পরিকল্পনা করে রুপালি ও শংকর। এদিকে পুলিশ এই বিজেপি কর্মী খুনে তার স্ত্রী এবং দেওরকে গ্রেপ্তার করার পরই দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!