এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > কাজ শুরু তৃণমূলের ‘উন্নয়ন বাহিনীর’! ঘর ছাড়া করা শুরু বিজেপি কর্মীদের বলে অভিযোগ

কাজ শুরু তৃণমূলের ‘উন্নয়ন বাহিনীর’! ঘর ছাড়া করা শুরু বিজেপি কর্মীদের বলে অভিযোগ

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই বিভিন্ন জনসভা থেকে দাবি করে থাকেন – বিজেপিকে হারানো দরকার, কারণ বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে, বিশেষ করে বাংলায় জিতলে – মানুষকে নাকি ঘরছাড়া-দেশছাড়া করে দেবে। গণতন্ত্রকে যাতে বিজেপি হত্যা করতে না পারে তাই – তৃণমূলকে জেতানো দরকার! কিন্তু বিরোধীদের দাবি, আদতে এই গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীই, পঞ্চায়েত নির্বাচনেই তার ভয়াবহ রূপ দেখা গেছে তৃণমূল শিবিরের ‘উন্নয়ন বাহিনীর’ দাপটে।

আর তাই, লোকসভা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া করতে হলে ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে বলে বারেবারেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। আর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাতে সাড়া দিয়ে প্রায় ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করার ফলে, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন। বিক্ষিপ্ত কিছু গন্ডগোলের খবর যে নেই তা নয়, কিন্তু মতের উপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাপটে ‘ভোট-লুঠেরারা’ আপাতত সেভাবে দৃশ্যমান নন। কিন্তু, এরমাঝেই তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট করালেও, ভোট মিটে গেলে কিন্তু আর বাহিনী থাকবে না!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক – আর সেই বিতর্কের রেশ মিটতে না মিটতেই, এবার বিরোধীদের অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করল তৃণমূলের ‘ঊন্নয়ন বাহিনীর’ দিকে! দুদফার ভোটগ্রহণ এখনও বাকি, এর মধ্যেই শাসকদলের ‘উন্নয়ন বাহিনীর’ কল্যানে বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া-গ্রামছাড়া হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে মঙ্গলকোটের নতুনহাট বাজারের পুরাতনহাট পাড়ায় ভোটের দিন শান্তি ঘোষ নামে বিজেপির মন্ডল সাধারণ সম্পাদককে শত চেষ্টা করেও পোলিং এজেন্ট হওয়া থেকে রুখতে পারে নি তৃণমূল। আশেপাশের বুথগুলিতে তৃণমূলের ‘উন্নয়ন বাহিনী’ এজেন্টদের বসতে না দিলেও শান্তিবাবু একপ্রকার মরিয়া লড়াই একই চালিয়ে যান।

বিজেপির তরফে আরও জানানো হয়েছে, সেদিন শুধু পোলিং এজেন্ট হিসাবে বসায় নয়, তিনি তৃণমূলের ছাপ্পাও আটকে দেন। বারবার চেষ্টা করেও ওই বুথে নাকি কোনো ছাপ্পাই করতে পারেনি তৃণমূল। আর তারপরেই তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২১ টি গবাদি পশু ও মোটরবাইক লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শান্তিবাবু সহ আরও ১০ জন বিজেপি কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি এমন অত্যাচার করা হয়েছে, যে ভয়ে তাঁরা আপাতত গ্রামছাড়া। তবে শুধু ওই বিজেপি কর্মীরাই নন, তৃণমূলের ‘উন্নয়ন বাহিনীর’ অত্যাচারে গ্রামছাড়া তাঁদের পরিবারও। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে, এমনকি সেই অভিযোগে জানানো হয়েছে লুঠ করে নেওয়া গবাদি পশু গ্রামেই তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবুও, পুলিশের তরফে তা উদ্ধার বা গ্রামছাড়া বিজেপি কর্মীদের গ্রামে ফেরানোর কোনো খবর এখনও পর্যন্ত নেই। পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনায় তাঁদের কোনো হাত নেই, ওটা দুই ভাইয়ের ঝামেলা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!