এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ছেঁকে ধরছেন দলীয় কর্মী ও পাওনাদাররা! চরম অস্বস্তিতে লোকসভায় টিকিট পাওয়া হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী

ছেঁকে ধরছেন দলীয় কর্মী ও পাওনাদাররা! চরম অস্বস্তিতে লোকসভায় টিকিট পাওয়া হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী


ভোট পার হয়ে গিয়েছে – কিন্তু লোকসভা ভোটে কাজ করেও টাকা মেলেনি। এমনই অভিযোগ তুলে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল বিজেপির মন্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে দলীয় কর্মী এবং পাওনাদারদের। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন দুধকুমার মন্ডল।

তৃণমূলের শতাব্দী রায়কে হারাতে দুধকুমারবাবুর সমর্থনে বিজেপির নেতা কর্মীরা একযোগে প্রচারে নেমেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে পারেননি দুধকুমারবাবু। শতাব্দী রায়ের কাছে হেরে যেতে হয়েছে তাকে। তবে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এবার নতুন বিড়ম্বনায় পড়লেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মন্ডল।

জানা গেছে, এদিন রামপুরহাট মহাকুমার মুরারই, নলহাটি ও রামপুরহাটের নয়জন বিজেপির মন্ডল সভাপতি ও মণ্ডল কমিটির সদস্য পাওনাদারদের সাথে করে নিয়ে দুধকুমার মন্ডলের বাড়িতে চলে আসেন। তাদের অভিযোগ, ভোটের সময় দেওয়াল লিখন, মাইক খরচ, গাড়ি ভাড়া সহ তারা বহু খাতে বিভিন্ন টাকা খরচ করেছেন। কিন্তু ভোটপর্ব মিটলেও সেই টাকা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আর তাই এদিন তারা প্রার্থী দুধ কুমার মন্ডলের বাড়িতে এসে সেই টাকার দাবি জানান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রামপুরহাট 1 মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য স্ট্রিট কর্নার, দেওয়াল লিখন সহ নানা ভাবে প্রচার করা হয়েছিল। চারচাকা গাড়ি ভাড়া নিয়েও প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু পাওনা টাকা চেয়ে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের নজরে গোটা বিষয়টি আনা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জেলা সভাপতি বলেছিলেন, প্রার্থীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। সেজন্য প্রার্থীর কাছে যাওয়া হয়েছিল।” কিন্তু প্রার্থী তাদের কি আদৌ আশ্বাস দিলেন টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে?

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “প্রার্থী আমাদের বললেন, দলের রাজ্য ও জেলা স্তরের অব্যবস্থার জন্য আপনারা টাকা পাননি। যে টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই টাকার পুরোটাই তিনি খরচ করেছেন। তাই আমাদের নিরাশ হয়ে ফিরতে হল। নজন মন্ডল সভাপতির পাওনা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। পাওনা টাকা যদি না পাওয়া যায়, তাহলে আবার দলকে জানানো হবে।” কিন্তু তার ভোটে তাকে জেতানোর জন্য এইভাবে দলের কর্মীরা খরচ করলেও কেন তিনি তাদের পাওনা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে দুধকুমার মন্ডল বলেন, “আমি কি ওদের কাছে টাকা ধার করেছিলাম যে টাকা চাইতে এসেছে! ভোট হয়েছে, টাকা দিয়েছিল, খরচ হয়েছে। সমস্ত হিসেব আমি পার্টিকে দিয়েছি এবং ক্লিনচিট সার্টিফিকেটও পেয়েছি।” এদিকে এরূপ ঘটনায় এখন প্রবল অস্বস্তিতে বীরভূম জেলা বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমি যে সময়কার ঘটনা, সেইসময় সভাপতি ছিলাম না। ফলে বিষয়টা আমার জানা নেই। কিন্তু এভাবে কারও বাড়িতে না গিয়ে দলীয় অফিসে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করলে ভালো হত।”

সবমিলিয়ে ভোটের সময় টাকা খরচ হলেও এবার দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে সেই টাকা মেটানোর দাবি বিজেপির মন্ডল সভাপতিরা জানানোয় প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনে আশাব্যঞ্জক ফল করার পর, গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ এখন নবান্নের দখল নেওয়া। সেই পরিস্থিতিতে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে আসায় প্রবলতর হচ্ছে অস্বস্তি। এই অস্বস্তি ঢাকতে বিজেপি-নেতৃত্ব এখন কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!