এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > রাতারাতি ভোলবদল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের! পুলিশ-তৃণমূল একযোগে চাপ দিচ্ছে অভিযোগ বিজেপির

রাতারাতি ভোলবদল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের! পুলিশ-তৃণমূল একযোগে চাপ দিচ্ছে অভিযোগ বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হতে দেখা যাচ্ছে। যে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার বিজেপি কর্মী গণেশ মায়ের মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বা রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না করায় ব্যাপক চাপে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার ভোরে গোঘাট রেল স্টেশনের কাছে একটি গাছ থেকে গণেশ রায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গণেশবাবু তাদের দলের সক্রিয় কর্মী। পরবর্তীতে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে ময়দানে নামা হয়। পাশাপাশি সোমবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসলেও বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে গণেশবাবুকে তাদের কর্মী বলে দাবি করা হলেও এই ব্যাপারে উল্টো প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে মৃত ব্যক্তির পরিবারের গলায়।

এদিন এই প্রসঙ্গে মৃত গণেশ রায়ের দুই ছেলে ধর্মরাজ রায় এবং বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “বিজেপি ভয় দেখিয়ে জোর করে আমাদের মিথ্যা বলতে বাধ্য করেছিল। আমরা কখনও চাইনি বাবার মৃত্যু নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করুক। তাই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আমরা দেখা করিনি।” আর বিজেপির পক্ষ থেকে যাকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই মৃত ব্যক্তির দুই ছেলে এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিজেপির সেই অভিযোগকে কার্যত মিথ্যে বলে দাবি করায় বিজেপি যে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মৃত গনেশ রায়ের স্ত্রী বলেন, “স্বামীর দেহ উদ্ধারের পর বিজেপি রাজনীতি করলেও পরে আমাদের খোঁজ নেয়নি। আমরাও আর ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাই না। আমরা গোঘাটের বিধায়ক মানুষ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার সহযোগিতায় সমব্যাথী প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পেয়েছি। সরকারের দেওয়া 100 দিনের কাজ করেই বাঁচতে চাই।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপির পক্ষ থেকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল? গণেশ রায় কি তাহলে তাদের কর্মী নয়? শুধুমাত্র তৃণমূলকে চাপে ফেলার জন্যই কি বিজেপি এই মিথ্যাচার করেছে?

 

এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “পুলিশ ও তৃণমূল একযোগে কাজ করছে। আমাদের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার পর ওরা জোর করে ওই পরিবারকে মিথ্যা বলতে বাধ্য করাচ্ছে। আমাদের স্থানীয় নেতৃত্ব ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।” অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তৃণমূলের সরকারের প্রশংসা করা হলেও, বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাকে চক্রান্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় জনতা পার্টি যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!