এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > আদি নয়, বিজেপিতে পদ পাচ্ছেন নব্যরাই! বিস্ফোরক অভিযোগে ক্রমে বিদ্রোহের পরিবেশ বিজেপির অন্দরে

আদি নয়, বিজেপিতে পদ পাচ্ছেন নব্যরাই! বিস্ফোরক অভিযোগে ক্রমে বিদ্রোহের পরিবেশ বিজেপির অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বেশ কিছুদিন সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য কমিটি গঠন হয়েছে। কিন্তু বিজেপির এইরকম রাজ্য কমিটি গঠনের পরই নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকেই দাবি করেছেন যে, নতুন কমিটিতে পুরনো লোকেদের স্থান দেওয়া হয়নি। যার ফলে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। যে বিজেপি 2021 সালে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, তাদের রাজ্য কমিটি নিয়ে যদি দলের কর্মীরাই এভাবে এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, তাহলে কিভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আর এবার রাজ্য কমিটি গঠনে মতানৈক্য প্রকাশ্যে আসার পর মোর্চার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরমহলে। এক্ষেত্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন অনেক প্রবীণ নেতা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “রাজ্য কমিটি গঠনে দিল্লি বহু নাম চাপিয়ে দিয়েছে। আগামী বছর বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই তা হজম করতে হয়েছে।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশের একাধিক মোর্চা সভাপতির নামে সীলমোহর দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এখন দেখা যাচ্ছে, বহু নেতা নিজেদের অনুগামী তৈরি করছেন। তাদের সম্ভাব্য কমিটিতে রাখারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। দলে এই সংস্কৃতি কিছুতেই ঢোকানো যাবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একাধিক মোর্চার সভাপতির কাছে নয়া কমিটির খসড়া পেশ করেছেন। যেখানে বেশকিছু নাম নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের আপত্তি রয়েছে। যার ফলে মোর্চার কমিটি তৈরি হতে অনেকটা সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে একাংশ।

তবে বিজেপির অন্দরে এই মোর্চা কমিটি গঠন নিয়ে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করেছে, তাতে নিঃসন্দেহে চাপে পড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি। একাংশের বক্তব্য, বর্তমানে দল বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীদের নিয়ে নয়, বরঞ্চ তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে সব থেকে বেশি ব্যস্ত।

তাই তারা পদ পাওয়ার জন্য যখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তখন তাদের পদ দিয়ে সন্তুষ্ট রাখছে দল। এক্ষেত্রেও যদি এমনটা হয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের কর্মীরা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে।

আর একটা কমিটি গঠন করতে গিয়ে যদি বিজেপির নেতাকর্মীরা এভাবে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন, তাহলে দলের শৃঙ্খলা যেমন ধাক্কা খাবে, ঠিক তেমনই বিধানসভা নির্বাচনে কোন্দলের কারণে বিজেপির ক্ষমতা দখল সম্ভব হবে না বলে দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা।

এখন পরিস্থিতি আঁচ করে দিলীপ ঘোষ এই ব্যাপারে কি পদ্ধতি অবলম্বন করেন, কোন দিকে এগোয় গোটা পরিস্থিতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!