প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী রবিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে। পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে সকলের মুখে। এদিকে গতকাল নির্বাচনের শেষ দফার পরিসমাপ্তির পর বেশ কিছু সংস্থা তাদের এক্সিট পোল বের করেছে। কিছু সংস্থা পরিবর্তন, তো কিছু সংস্থা প্রত্যাবর্তনের কথা বলছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিই নির্বাচনে জয়লাভ করবে বলে, আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য রাখলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

আজ নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে, যে সমস্ত বুথফেরত সমীক্ষা সামনে এসেছে, এগুলোতে বিশ্বাস করছেন না তিনি। তিনি জানালেন, বিজেপিই বাংলার ক্ষমতায় আসতে চলেছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বিজেপি লড়াই করছে ৪২ % পাচ্ছে, কিন্তু সরকার তৃণমূল গঠন করবে। সৌমিত্র খাঁ জানালেন, তিনি একজন সাংসদ, যিনি এলাকায় না গিয়েও জয়লাভ করেছিলেন। তাই কিছুটা হলেও তাঁর অভিজ্ঞতা আছে।

সৌমিত্র খাঁ তাঁর নিজের করা সমীক্ষার মাধ্যমে কোথায় বিজেপি কত আসন পেতে চলেছে? তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানালেন কোচবিহারের বিজেপি ৭ থেকে ৮ টি আসন পেতে চলেছে। আলিপুরদুয়ার জেলাতে বিজেপি ৪ টি থেকে ৫ টি আসন পেতে চলেছে। জলপাইগুড়ি জেলাতে ৬ টির বেশি আসন বিজেপি পাবে। দার্জিলিং জেলাতে বিজেপি ৩ থেকে ৪ টি আসন পেতে চলেছে।

উত্তর দিনাজপুর জেলাতে বিজেপি ৪ টি থেকে ৬ টি আসন পেতে চলেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাতেও বিজেপি সমসংখ্যক আসন পেতে চলেছে। মালদহ জেলাতে বিজেপি ৬ টির বেশি আসন পেতে চলেছে। নদীয়া জেলায় ১৩ টির বেশি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনায় ২০ টির বেশি আসন পেতে চলেছে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাতে বেশি আসন পাবে না বিজেপি।

সৌমিত্র খাঁ জানালেন, হুগলিতে ১৫ টি আসন পাবে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৩ টি আসন ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫ টি আসন পাবে বিজেপি। বাঁকুড়ায় তৃণমূলকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে। পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি আসন পাবে ১২ টি। পশ্চিম বর্ধমানে বিজেপি ৮ টি আসন পাবে। বীরভূম জেলায় ৫ থেকে ৭ টি আসন বিজেপির দখলে যাবে। হাওড়া জেলার বিজেপির দখলে যাবে ৬ টির বেশি আসন।

অন্যদিকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোটকে একত্রিত করতে উদ্যোগ নিয়েছিল বিজেপি । তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। একাধিক এক্সিট পোল থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপির এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট সফল হয়েছে। বলা যায় রাজ্যের প্রায় ৫০ শতাংশ হিন্দু বিজেপির পাশে থেকেছে, অন্যদিকে রাজ্যের ৩২ শতাংশের কিছু বেশি সংখ্যক হিন্দু তৃণমূলের পক্ষে রয়েছেন। ১০ শতাংশ হিন্দু রয়েছেন জোটের পক্ষে। তবে, বুথফেরত সমীক্ষা কখনোই ধ্রুব সত্য নয়, প্রকৃত ফলাফল জানতে গেলে আরও দু-তিন অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।