এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিকে আটকাতে এবার তৃণমূল নেত্রীর বড়সড় পদক্ষেপ, ব্যাপক জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

বিজেপিকে আটকাতে এবার তৃণমূল নেত্রীর বড়সড় পদক্ষেপ, ব্যাপক জল্পনা রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। 2019 এর বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা দেশজুড়ে অবিজেপি শক্তিগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। আর এবার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনী পরিস্থিতি চলাকালীন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো একবার দেশের অবিজেপি শক্তিগুলিকে একজোট করার প্রক্রিয়া শুরু করলেন। এদিন তৃণমূল নেত্রী বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলের নেতা নেত্রীকে একযোগে চিঠি লিখে বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন।

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করেছেন, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বর্তমানে দেশজুড়ে স্বৈরাচারী শাসন চালাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বার বার আঘাত করছে তাঁরা ও অবিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। আগামীকাল নন্দীগ্রামের নির্বাচন। আর সারাদেশের নজর এখন নন্দীগ্রামের ওপর। মনে করা হচ্ছে, নন্দীগ্রাম থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে যাবে। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগেরদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে চিঠি লেখেন।

এছাড়াও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স এর নেতা ফারুক আব্দুল্লাহ, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এবং সিপিআইএম নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের কাছে তিন পাতার একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে তৃণমূল নেত্রী একের পর এক অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, ক্রমাগত দেশের গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেসব রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি নেই, সে সব রাজ্যের রাজ্যপালের ক্ষমতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। রাজ্যপালরা বিজেপির পদাধিকারীদের মতন কাজ করছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ক্ষমতা প্রয়োগে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর যথেচ্ছ অপব্যবহার করছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং তৃণমূল নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে। একই সাথে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রী চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, বিজেপি যেহেতু কেন্দ্রের ক্ষমতায় তাই বিরোধী দলগুলোকে বেসামাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তার একটাই কারণ বিজেপি কোনমতেই বিরোধী দলগুলোকে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে দিতে চায়না। তাই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য অবিজেপি শক্তিকে এই লড়াইয়ে সামিল করতে চেয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যের ভোট চলাকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বাম নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এর কাছে তৃণমূল নেত্রীর চিঠি পৌঁছানো বিশেষ কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা জমে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত এ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার একযোগে সমর্থন জানিয়েছেন অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সরেন ও অন্যান্যরা। হেমন্ত সরেন তো ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর হয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন বাংলায়। আপাতত তৃণমূল সুপ্রিমোর এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি কি প্রতিক্রিয়া দেন সেটাই এখন দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!