প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মূলত প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল এবং বিজেপি। মানুষকে পাশে পেতে একে অপরের ভুল ত্রুটি তুলে ধরছে মানুষের সামনে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে তৃণমূল এবং বিজেপি রাজ্যজুড়ে চালাচ্ছে জোরদার প্রচার। সম্প্রতি বীরভূমে দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেতা তথা বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি আক্রমন করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

এদিন বীরভূমের রাজনগরের দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমত নজিরবিহীন আক্রমণ করে মিথ্যেবাদী, নেমকহারাম বলে তীব্র কটাক্ষ করেন অনুব্রত মন্ডল। পাশাপাশি অমিত শাহের রাজ্য সফর বাতিল নিয়েও মুখ খোলেন অনুব্রত এদিন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল-বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিদিনই সভা মিছিলের আয়োজন করছে। শনিবার সভার আয়োজন হয়েছিল বীরভূমের রাজনগরে। সেখানে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন। তীব্র বিরোধিতার সুরে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জালিয়াত বলে ভূষিত করেন।

পাশাপাশি অনুব্রত অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি সরকার মিথ্যেবাদী। মানুষের সাথে তাঁরা প্রতারণা করছে। আর এরপরই নজিরবিহীন আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রীকে ‘জালিয়াত’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেন অনুব্রত। পাশাপাশি এদিন অনুব্রত অমিত শাহের রাজ্য সফর বাতিল নিয়ে দাবি করেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে বাংলা দখল করতে, তাই বারবার তাঁদের দিনক্ষণ বদল হচ্ছে। পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর জনমুখী প্রকল্পগুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরেন এবং তা নিয়ে আলোচনা চালান। অনুব্রত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ বলে ব্যাখা করেন।

যিনি ধর্মীয় ভেদাভেদ না করে সর্ব ধর্মের জন্য সমান ভাবে চিন্তা করেন। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র গুজরাটিদের কথাই ভাবেন। অন্যদিকে দলবদলের প্রাক্কালে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলার 69 টি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাংলার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই তুলে দিতে হবে সর্বসাধারণের স্বার্থে।

রাজ্যজুড়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তৃণমূল শিবির বলেমনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা তৃণমূল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। যথারীতি ঘাসফুল শিবিরে লাগছে একের পর এক ধাক্কা। এই অবস্থায় বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেভাবে নজিরবিহীন আক্রমণ চালালেন তা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেবেন কিনা তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থাকছে। তবে একথা অনস্বীকার্য রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির।