এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে আটকাবে কি, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ঘুম উড়ছে মাদার-যুবর দ্বন্দ্ব সামাল দিতেই!

বিজেপিকে আটকাবে কি, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ঘুম উড়ছে মাদার-যুবর দ্বন্দ্ব সামাল দিতেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সবথেকে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুহূর্তে শাসকদলের অন্তর্কলহ বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের। রাজ্যজুড়ে সমানে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে আসছে এবং তা নিয়ে শুরু হচ্ছে বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন অনেকেই। তবে বিধানসভা ভোটের উপর যাতে কোনরকম ছাপ না ফেলে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তার জন্য প্রবল চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যাচ্ছেনা। তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন তৃণমূলের ফাটল দিয়েই গেরুয়া অনুপ্রেবেশ ঘটছে রাজ্যে।

মালদা জেলায় দীর্ঘদিন ধরেই মৌসম নুর এবং কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই চলছে আর তা সবার জানা। বুধবার মালদায় যুব তৃণমূলের উদ্যোগে একটি মিছিল করা হয় ও জনসভার আয়োজন করা হয়। যেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়। কিন্তু বুধবার এই মিছিলকে কেন্দ্র করে মালদা জেলার যুব তৃণমূল এবং মাদার তৃণমূলের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আবারো প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। এদিন যুব তৃণমূলের আয়োজিত জনসভা থেকে মৌসম নুর জানান, যুব তৃণমূলের কর্মসূচিতে মাদার তৃণমূলের প্রভুত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। অনেকেই মনে করছেন, এ কথা বলে মৌসম নুর ইঙ্গিত করেছেন যুব তৃণমূলের মিছিলে লোক সমাগমের পেছনে মাদার তৃণমূলের হাত রয়েছে।

এদিকে যুব তৃণমূলের দাবি, এই মহামিছিলের পেছনে তাঁদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের বড় হাত রয়েছে। আবার এই প্রসেনজিৎ দাস কিন্তু কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর অন্যতম অনুগামী বলেই এলাকায় পরিচিত। ফলস্বরূপ, যা দাঁড়াচ্ছে তা হল মৌসম নুরের সঙ্গে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াই, আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জোরদার চর্চা। এদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন জেলার মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী চৈতালি সরকার। তিনি জানান, গেরুয়া শিবির থেকে তাঁকে বলা হয় যুব তৃণমূল কর্মসূচিতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, প্রসেনজিৎ দাস এর নাম রয়েছে সেখানে মৌসম নুর এবং চৈতালি সরকারের নাম নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পরেই তিনি বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, তৃণমূলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য গেরুয়া শিবির উঠে পড়ে লেগেছে। এরপরেই তিনি একযোগে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই করার ডাক দেন। অন্যদিকে যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস এদিন সভা মঞ্চ থেকে জানান, তিনি দায়িত্ব নিয়ে বেশকিছু যুব নেতা কর্মীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনেছেন, যারা একসময় বসে গিয়েছিল। ফলস্বরূপ, যুব নেতা কর্মীরা এদিনের ময়দান ভরিয়েছেন। অন্যদিকে মৌসম নুর এ দিনের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, যুব কর্মীদের পাশাপাশি দলের মাদার সংগঠনের লোকজনও এদিন সভায় এসেছেন। তবে তিনিও গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন।

অন্যদিকে এদিনের জনসভা থেকে দলত্যাগী তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করেছেন বাকি জেলা নেতারা। জানা গেছে, এদিন দুপুরে মালদা কলেজ ময়দান থেকে যুব তৃণমূলের উদ্যোগে একটি মিছিল ইংলিশবাজার শহর পরিক্রম করে প্রথমে তারপর জেলা কালেক্টরের চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এই মিছিলে যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস এর সাথে ছিলেন নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, দুলাল সরকার প্রমুখ। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরসহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা নেত্রীরা উপস্থিত থাকেন জনসভায়। এবং সবাই মিলে একত্রে দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করেন।

সব মিলিয়ে কিন্তু মাদার তৃণমূলের সাথে যুব তৃণমূলের রাজনৈতিক দ্বন্দের প্রসঙ্গটি প্রাধান্য পেয়েছে এদিন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কিন্তু বলা হয়েছে, দলের যুব বা মাদার গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধিতার কোন বিষয় নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যজুড়ে যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে শাসক দলের অন্দরে তা স্বাভাবিকভাবেই দলকে কিন্তু চরম অস্বস্তির মুখে দাঁড় করিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যদি বন্ধ না হয় তাহলে আগামী দিনে কিন্তু আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে দল। পাশাপাশি দলের অন্তর্কলহের সুযোগ যেভাবে নিচ্ছে বিরোধীরা, তা বন্ধ হওয়া উচিত বলে দাবী তৃণমূলের একাংশের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!