প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে এই মুহূর্তে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি। সামনে আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, সেদিকেই এখন নজর সবার। আর তার আগে যেভাবে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একের পর এক জেলা থেকে প্রকাশ্যে আসছে, তা নিয়ে বিজেপি’র অন্দরেই শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। এবার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে এল উত্তর 24 পরগনা অশোকনগরে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রীতিমতো উত্তাল অশোকনগর এলাকা।

রবিবার অশোকনগরে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হয়েছে চার বিজেপি কর্মী। তাঁদের হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার সন্ধ্যাবেলা অশোকনগর আশ্রাফাবাদ এলাকার একটি এটিএম এর সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপি কর্মী অনিকেত তাঁর পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ঠিক সে সময় বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক অতর্কিতে তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে। অনিকেতকে বাঁচাতে এসে আরো 4 বিজেপি সমর্থক আক্রান্ত হয়।

সূত্রের খবর, অনিকেতের মাথায় হাতুড়ির আঘাত করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অশোকনগর থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অন্যদিকে আহত বিজেপি কর্মী অনিকেত জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপিতে সমাজবিরোধীদের আধিক্য বেড়েছে। আর তার বিরুদ্ধে কথা বলতেই এই হামলার সূত্রপাত। আপাতত পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বলে খবর।

অনেকেই দাবী করছেন,অনিকেতের ওপর হামলার পিছনে রয়েছে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা ওবিসি মোর্চার সভাপতি নীলরতন মিত্র ও তাঁর দলবল। অন্যদিকে অনিকেত একসময় বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়াও রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার এক্সিকিউটিভ সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব সামলেছেন বেশ কিছুদিন। তাই অশোকনগরের পরিচিত মুখ তিনি। এহেন অনিকেতের ওপর হামলার ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন জেলায় গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে, তা কিন্তু বিজেপির সাংগঠনিক জোর রীতিমতো আলগা করে দিচ্ছে। উপরন্তু বিরোধীরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ নিতে সদাপ্রস্তুত। এই অবস্থায় আগামী দিনে নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য গেরুয়া শিবিরের সর্বাগ্রে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব দিনদিন এতটাই বেড়ে চলেছে, যে তা এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।