এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মানুষের? অনুব্রত গড়ে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে গেরুয়া শিবির?

বিজেপির বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মানুষের? অনুব্রত গড়ে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে গেরুয়া শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বীরভূমের মল্লারপুরে পুলিশের হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ পারদ চড়ছে রাজনৈতিক যুদ্ধের। পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবারে উত্তপ্ত ছিল মল্লারপুর এলাকা। সম্প্রতি মল্লারপুর রেলপার খালাসি পাড়ার বাসিন্দা একটি নাবালক ছেলেকে চুরির ঘটনায় সন্দেহ করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ওই রাতেই নাবালক ছেলেটির মৃত্যু ঘটে। খবরটি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং তারপর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল ও বিজেপি এই মৃত্যুকে ঘিরে শুরু করেছে রাজনীতির লড়াই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মল্লারপুরে আজকে ছিল বিজেপির বনধ। খুব স্বাভাবিকভাবেই শনিবার মল্লারপুরে দেখা গিয়েছে বনধ ঘিরে থমথমে পরিবেশ। এলাকার 90% দোকানপাট বন্ধ ছিল। আর তাই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে, তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ধীরে ধীরে থাবা বসানোর জন্য তৈরি হচ্ছে গেরুয়া শিবির? অন্যদিকে পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো এসে পৌঁছায়নি। যার ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনো রয়ে গেছে ধন্দ। বৃহস্পতিবার শেষ দেখা যায় ওই নাবালককে মল্লারপুর থানায়। বৃহস্পতিবার রাতে থানা চত্বরেই তাঁর দেহ পাওয়া যায়।

বিজেপি এবং তৃণমূল দু দলের পক্ষ থেকেই মৃতের পরিবারকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের অত্যাচারে নাবালকের মৃত্যুর কারণে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় সড়কের ওপর 4 ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একইভাবে তৃণমূলের বিধায়কের উপস্থিতিতে তারাপীঠ শ্মশানে মৃত নাবালকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বলে জানা গিয়েছে। শনিবার মল্লারপুরে রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খানের নেতৃত্বে বিরাট মিছিল বের হয়। একসময় বিজেপি কর্মীদের মিছিল বোলপুর রাজগ্রাম রোড ধরে মল্লারপুর থানার দিকে যেতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড করে বাধা দেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর ব্যারিকেড সরাতে গেলে পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। সেসময় বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল নির্দেশ দেন, রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখানোর জন্য। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সৌমিত্র খান জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত থানায় যুব মোর্চার নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। পুলিশি হেফাজতে নাবালক মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে একইভাবে তিনি এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে তৃণমূল লুকিয়ে রেখেছে। তাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসছেনা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার তারাপীঠ শ্মশানেই মৃত নাবালকের বাবা জানিয়েছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। যদিও তৃণমূল বিজেপির অভিযোগ যথারীতি অস্বীকার করেছে। মল্লারপুরের বাসিন্দা তথা ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায় জানিয়েছেন, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। যা নিয়ে বিজেপি সস্তার রাজনীতি চালাচ্ছে। অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসলে কোনো কিছুই স্পষ্ট করে বলা যাবেনা। তবে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর জন্য যা যা করা প্রয়োজন আইন অনুযায়ী তার সব করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে মল্লারপুরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু ঘিরে ক্রমশই তীব্র হচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। একাধারে সৌমিত্র খাঁয়ের বিবৃতি যেমন পাওয়া যাচ্ছে, অন্যদিকে ঠিক একইভাবে অনুব্রত মণ্ডলও তাঁর বিবৃতি জারি করেছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মল্লারপুরে যেভাবে বিজেপির ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ বনধ সফল করলেন, তাতে কিন্তু তৃণমূলের রাজনৈতিক গুরুত্ব এলাকায় কতটা থাকছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আপাতত এই ঘটনার মোড় কোনদিকে নেয়, তার ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!