এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি ” – হুঙ্কার দিল্লির কৃষক নেতাদের

“বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি ” – হুঙ্কার দিল্লির কৃষক নেতাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শীতের শুরু থেকেই দিল্লি ও দিল্লির সীমান্তে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার প্রণীত নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্দ কৃষকদের আন্দোলন। এবার বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালালেন একাধিক কৃষক নেতা। যে কৃষক নেতারা এতদিন নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রচার করছিলেন, যে কৃষকনেতারা ইতিপূর্বে জানিয়েও ছিলেন যে, তাঁদের আন্দোলন কেন্দ্রীয় নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। তাদের এই আচম্কা ভোলবদলে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই।

গতকাল কলকাতায় এসে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালালেন একাধিক কৃষক নেতা । যাদের মধ্যে আছেন যোগেন্দ্র যাদব, হান্নান মোল্লা, বলবীর সিংহ রাজেওয়াল, মেধা পাটকর প্রমুখরা। কলকাতার প্রেস ক্লাবে বক্তব্য রাখলেন তাঁরা। জানালেন, জনবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। মানুষ যেন কোনোভাবেই ভোট না দেন বিজেপিকে। পরিস্থিতির বিচার করে বিজেপি বাদ দিয়ে অন্য কোনো দলকে সমর্থন করার আবেদন জানাতে দেখা গেল এই কৃষক নেতাদের।

গতকাল কলকাতার প্রেসক্লাবে কৃষক নেতারা জানালেন যে, কৃষিকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দিচ্ছে বিজেপি সরকার, রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছে, আন্দোলনকারীদের ওপর ফ্যাসিবাদী আক্রমণ চালাচ্ছে এই কারনেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। সাংবাদিকরা তাঁদের প্রশ্ন করেছিলেন যে, বিজেপিকে না দিয়ে অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন কি তাঁরা? এর উত্তরে তাঁরা জানান, পরিস্থিতি বিচার করে মানুষের যাকে পছন্দ, তাকেই ভোট দেবেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকেও ভোট দিতে পারেন না, চাইলে অন্য দলকেও ভোট দিতে পারেন। এ বিষয় নিয়ে তাঁরা কিছু বলতে চান না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল এন্টালির রামলীলা ময়দানে কিষাণ ও মজুর মহাপঞ্চায়েতে কৃষক নেতারা এভাবেই বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানালেন। আজ-কালের মধ্যেই তারা নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করবেন। তবে উল্লেখযোগ্য গতকাল তাদের কর্মসূচিতে সেরকম জনসমাগম দেখা যায়নি। আবার সিপিএমের তথা বামফ্রন্টের কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও কিষাণ ও মজুর মহাপঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।

গতকাল কৃষক নেতাদের সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে, বিভিন্ন স্থানে গিয়ে তাঁরা কি তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছেন? এর কোন স্পষ্ট জবাব দেননি কৃষকনেতারা। শুধু এটুকুই জানিয়েছেন যে, তাদের সফরসূচী কিষান মোর্চার স্থানীয় নেতৃত্ব নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, তারা সব জায়গায় গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করবেন। এখানেও এসেছেন, ভালো, কোনো অসুবিধে নেই। তবে বাংলার মানুষ বিজেপি সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে, কিন্তু তাতেও আন্দোলন থেকে সরে যাননি তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের স্বর্থে কৃষি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব দিলেও, কৃষক নেতারা তাতে রাজি হননি। তারা আইন সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এবার, এই কৃষক নেতারা যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার ও পরোক্ষে শাসকদল তৃণমূলকে ভোট দানের বার্তা দিচ্ছেন, তাতে তাদের আন্দোলন, তাদের কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!