অবশেষে সক্রিয়ভাবে ময়দানে নামতেই ‘ফর্মে’ ফেরার ইঙ্গিত শোভনের! আশায় বুক বাঁধছে গেরুয়া সমর্থকরা তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরে গেরুয়া শিবিরে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকার পর এবার কলকাতা জোনে গেরুয়া শিবিরের হাল ধরেছেন একদা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শোভন চট্টোপাধ্যায় চালিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক কড়া আক্রমণ তৃণমূলকে। সম্প্রতি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়াবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের দায়িত্ব নিয়ে সেখানে পৌঁছাতে চলেছেন। এই নিয়ে এদিন তীব্র কটাক্ষ করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় নিশ্চিত। যদিও এখনো পর্যন্ত নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী দাঁড়াবেন কিনা প্রার্থী হিসেবে তা নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, দক্ষিণ 24 পরগনায় একসময় সিপিএমের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু এখন সিপিএমকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়না। পাশাপাশি আরএসপি বা এসইউসিআই এরও কোনো চিহ্ন নেই বলে জানিয়েছেন আজ শোভন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ 24 পরগণার আমতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সেখানেই তিনি দাবি করেন, যে সন্ত্রাসের হাত ধরে সিপিএমের অবক্ষয় শুরু হয়েছিল, সেই একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পতন শুরু হতে চলেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রেই শুধু নয়, পুরো লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এমনকি দোকান বন্ধ করে দেওয়া, ভাঙচুর করা, চাষের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার মতন অত্যাচার চলছে। তাই একুশের বিধানসভার নির্বাচনে মানুষ জবাব দেবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও এদিন নন্দীগ্রামের দায়িত্ব নেওয়ার পর তীব্র কটাক্ষ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে বলেন, তিনি এমন এক ব্যক্তি যার বাইরেটা একরকম আর ভিতরটা অন্যরকম। এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারে সাংগঠনিক সভা করেন। সেখানকার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে পরে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন শোভন-বৈশাখী। সবমিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শোভন-বৈশাখী যেভাবে সক্রিয় হচ্ছেন দীর্ঘদিন পর, তা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে ইতিবাচক দিক বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত কলকাতাসহ দক্ষিণ 24 পরগনার কিছু অংশ এবং উত্তর 24 পরগনার কিছু অংশে গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর লক্ষ্যে শোভন-বৈশাখী। তাঁরা কতটা সফলতা পান সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে তৃণমূল কতটা শোভনকে ব্যাকফুটে ঠেলতে পারে, সেটাও দেখার। আপনার মতামত জানান -