এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির ডাকা বনধ কার্যত ফিকে করে দিয়ে নদীয়াতে শেষ হাসি তৃণমূলেরই? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

বিজেপির ডাকা বনধ কার্যত ফিকে করে দিয়ে নদীয়াতে শেষ হাসি তৃণমূলেরই? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টআবারও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে জোরদার আন্দোলন শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যাপকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে দাবি বিরোধী শিবির বিজেপির। অন্যদিকে রবিবার নদীয়ার কল্যাণীর গয়েশপুরে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। তাঁদের দাবি, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীর দেহ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার 12 ঘন্টার কল্যাণী বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।

তবে সেই বনধ পুরোপুরি সফল হয়নি বলেই দাবি তৃণমূলের। উপরন্তু বিজেপির ডাকা বনধ যেভাবে অসফল হল, তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্দরে খুশির হাওয়া। সূত্রের খবর, বিজেপির ডাকা সোমবার 12 ঘন্টার কল্যাণী বন্ধের ব্যাপকভাবে কোন প্রভাব পড়েনি এলাকায়। 12 ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ সময়ে রাস্তায় যানচলাচল চোখে পড়েছে। যদিও কল্যাণীর বিভিন্ন অঞ্চলে দোকানপাট বন্ধ ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে নদীয়ার গয়েশপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী বিজয় শীলের দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই গেরুয়া শিবির অভিযোগের আঙুল তুলে তৃণমূলের দিকে। পরিকল্পিতভাবে খুন করার অভিযোগ ওঠে।

মুহূর্তে এলাকা জুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির তরফ থেকে সোমবার 12 ঘন্টার কল্যাণী বন্ধের ডাক দেওয়া হয় এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচির কথা ঘোষণা হয়। রবিবার সারাদিন গয়েশপুর এলাকায় উত্তেজনা চরমে ছিল। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, সন্ধ্যাবেলা স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার যখন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা করে। খুব স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। জগন্নাথ সরকারের অনুগামীরা রীতিমতো থানা জ্বালিয়ে দেবার হুমকি দেয়। অন্যদিকে বিজয় শীলের মৃত্যু নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সরাসরি রাজ্য প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর মতে, রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ার ফলে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের খুন করে। নাম না করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্য প্রশাসনকেই অভিযুক্ত করেছেন তা স্পষ্ট। অন্যদিকে আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অতএব তাঁর আসার আগেই রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুতে বিজেপি যে ঝড় তুলবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। সেই অনুযায়ী বিজেপি কল্যাণী বনধ ডেকেছিলো সোমবার। কিন্তু বমধ সমর্থনের জন্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মিছিল বের করলেও তাতেও সেরকম সাড়া পড়েনি বলে দাবি তৃণমূলের। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিজেপি কর্মীদেরও আর চোখে পড়েনি বলে জানা যাচ্ছে।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির ডাকা বনধ অসফল। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গয়েশপুরের বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই। তবে বরাবরের মতোই বিজেপির নিশানায় তৃণমূল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে এলাকায় এখনও তীব্র উত্তেজনা। পুলিশ তদন্তে নেমেছে, তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশের কাছে মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসেনি। আপাতত বিজেপির ডাকা বনধ সফল না হওয়ায় গেরুয়া শিবিরেও শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে এই মৃত্যু দু দলের রাজনৈতিক যুদ্ধকে কোনদিকে মোড় দেয়, সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!