এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপির ফল খারাপ হতেই ফের তৃণমূলে ফেরার হিড়িক রাজ্যে, জোর জল্পনা

বিজেপির ফল খারাপ হতেই ফের তৃণমূলে ফেরার হিড়িক রাজ্যে, জোর জল্পনা


2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পায়। অন্যান্য দল এবং তৃণমূল থেকে বহুল পরিমাণে সদস্যরা বিজেপিতে যোগদান করেন। এর ফলে রাজ্যের বহু পুরসভা, পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে যায়। যদিও লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপি তাঁদের সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল এই রাজ্যে। কিন্তু বিজেপি দলে যোগদান করার কিছুদিনের মধ্যেই ‘ঘরওয়াপসি’র জেরে সদস্যরা আবার পুরনো দলে ফিরতে শুরু করেছে এবং তৃণমূল লোকসভা বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে এবার নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছে।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত হওয়া মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিজেপি জিতলেও তাঁদের আসন সংখ্যা আগের বারের তুলনায় কমেছে।আর যার পরেই বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ছেড়ে অন্যদল যোগদান করার দিকে ঝুঁকেছে নেতা কর্মী সমর্থকরা। বাদ নেই বঙ্গও। শুক্রবার জেলা তৃণমূল ভবনে ইন্দাস ব্লক থেকে 700 পরিবার থেকে প্রায় 1000 জন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন। এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয় বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর জেলার 2 সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল ও শ্যামল সাঁতরার উপস্থিত কালে।

যদিও দলবদল এর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূলে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূল দলের অন্দরে এই দলবদল এর কারণ হিসেবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উঠে এসেছে। এদিন তৃণমূলের একাংশ দাবি করেছেন, এলাকার তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেন এর কাজে অখুশি হয়েই বেশ কিছু তৃণমূল সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে রবিউল হোসেনকে তাঁর পদ থেকে সরানোর পর পুরনো কর্মীরা আবার দলে ফিরেছেন। এমনকি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে শেখ নুর আলী নামে এক কর্মীকে রবিউল গোষ্ঠীর লোকজন মারধর করে। তাই নিয়েও এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এদিন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে তৃণমূলের এক সদস্য রবিউল মন্ডল জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কারণেই তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। রবিউল হোসেনকে সরানোর পরেই পুরনো কর্মীরা আবার তৃণমূলে ফিরলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা তৃণমূল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁদের কর্মীদের ওপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। বিজেপির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই এই ভীতসন্ত্রস্ত মানুষরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।

বিজেপির পক্ষ থেকে এই দলবদলের ঘটনাকে রীতিমতন কটাক্ষ করা হয়। বিজেপি দলের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, তৃণমূলের লোকেরাই তৃণমূলে ফিরছে। এই ঘটনাকে ‘অদ্ভুত’ বলেও তিনি দাবি করেছেন।

লোকসভা ভোটের পর থেকে যে পরিমাণ সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাতে বিজেপির সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আবার দলবদলকারীরা পুরনো দলে ফেরা তে পদ্ম শিবিরে চিন্তা বেড়েছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে কাটাছেঁড়াও শুরু হয়েছে বিজেপি অন্দরে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হল, এইভাবে যদি একে একে বিজেপি দল থেকে তৃণমূলে আবার ফিরতে থাকে, তবে 2021 এ বিজেপির জন্য কোন অঘটন ঘটাও সম্ভব নয়। ফলে অবিলম্বে বিজেপির উচিত, নিজেদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করায় এই দলবদলের ফলে তৃণমূলের শক্তি কিছুটা হলেও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!