এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির হাতে থাকা পঞ্চায়েত গেল তৃণমূলের হাতে, তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

বিজেপির হাতে থাকা পঞ্চায়েত গেল তৃণমূলের হাতে, তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিভিন্নভাবে গেরুয়া শিবিরকে ধরাশায়ী করছে তৃণমূল। এবার বিজেপির হাতে থাকা পঞ্চায়েত দখল করে নিল ঘাসফুল শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর আশঙ্কা করা হচ্ছিল, গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই আশঙ্কাই যেন বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে আসছে। এবার বাগদা বিধানসভায় বিজেপির হাতে থাকা একটি পঞ্চায়েত চলে গেল চলে তৃণমূলের দখলে। বিধানসভা ভোটের আগেই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু নির্বাচন থাকার জন্য সেসময় কিছুদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যায় অনাস্থা প্রস্তাব।

কিন্তু এবার আর দেরি করতে রাজি ছিলনা তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সদস্যদের ডাকা হয় ভোটাভুটির জন্য এবং সেখানেই তৃণমূল দখল করে নেয় বাগদার সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত। যদিও বিজেপি জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো আদালতের বিচারাধীন। সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতটি 2018 সালে দখল করে বিজেপি। সেসময় পঞ্চায়েত ভোটে 26 টি আসনের মধ্যে বাগদার সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের 26 টি আসনের মধ্যে বিজেপি 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনে 13 টি আসনে জিতেছিল, তৃণমূল 11 টি আসনে জিতেছিল এবং নির্দল দুটি আসনে জিতেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে 2 নির্দল সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করায় পঞ্চায়েত প্রধান গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে হয়েছিলেন লতিকা মন্ডল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু ঘটনা উলটো দিকে মোড় নেয় কিছুদিনের মধ্যেই। কারণ তিনজন বিজেপি সদস্য চলে আসেন তৃণমূলে। আর তারপরেই তোড়জোড় শুরু হয় সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত দখলের। কিন্তু পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী কোন একটি বোর্ড গঠন করার আড়াই বছরের মধ্যে অনাস্থা আনা যায়না। এতদিন পর্যন্ত তাই আটকে ছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার আর অপেক্ষা করতে রাজি নয় তাঁরা। তড়িঘড়ি আড়াই বছরের সময়সীমা পেরোতেই বাগদা বিডিও অফিসে অনাস্থা প্রস্তাবে 14 জন সদস্যের সইসমেত জমা দিয়ে এসেছিলো। যদিও বিজেপি সেসময় থেকেই প্রশ্ন তুলেছে, এই আচরণ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে।

জানা যাচ্ছে, অনাস্থা ভোটে বিজেপি সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে তৃণমূল তরফে 14 জন সমর্থ জানান এবং সৌমেন ঘোষকে তৃণমূলের তরফ থেকে নতুন পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েতটি বিজেপির হাত থেকে তৃণমূলের হাতে চলে যাওয়া তীব্র অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে বিজেপি অন্দরে। আপাতত এই নিয়ে চলছে একাধিক জল্পনা। অন্যদিকে আইনবিরুদ্ধভাবে তৃণমূল পঞ্চায়েত দখল করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। কারণ বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই এবার গেরুয়া শিবির তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইনের রাস্তার এগোয় কিনা সেটাও দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!