এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপির হেভিওয়েট সংখ্যালঘু নেত্রীকে সরিয়ে দায়িত্ব গোষ্ঠীকোন্দল সামলানোর ‘ম্যাজিশিয়ান’ নেতাকে

বিজেপির হেভিওয়েট সংখ্যালঘু নেত্রীকে সরিয়ে দায়িত্ব গোষ্ঠীকোন্দল সামলানোর ‘ম্যাজিশিয়ান’ নেতাকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই পরিবর্তন হচ্ছে বিজেপির সংগঠননে। এবার নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মাফুজা খাতুনকে। যেখানে নতুন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গোপাল সরকারকে। কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই রদবদল? এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, এই নদীয়া জেলায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই সময় যদি সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দেওয়া কোনো শক্তিশালী নেতাকে দায়িত্ব না দেওয়া যায়, তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। তাই সেদিক থেকে গোপাল সরকারের মত দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্বকে এবার নদীয়ার দায়িত্ব দিয়ে বিজেপি পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে চাইল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু তাই নয়, এই গোপাল সরকার অত্যন্ত পরীক্ষিত নেতা। এর আগেও তিনি সংগঠনের হাল ধরেছিলেন। তাই তাকে নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে বলে দাবি করছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতীতেও একাধিক জেলার গোষ্ঠী কোন্দল সামলানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছিল গোপাল সরকারকে।

পুরুলিয়া থেকে শুরু করে বারাসাত, পূর্ব মেদিনীপুর বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন তিনি। আর যে সমস্ত জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলানোর জন্য তাকে পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল, সেখানে অনেকটাই পরিস্থিতিকে আয়ত্তে এনে দিয়েছিলেন গোপালবাবু। তাই নদীয়া জেলার সমস্যা যখন বাড়ছে, তখন সেখানকার মুশকিল আসান হিসেবে সেই গোপাল সরকারকেই দায়িত্ব দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গেছে, বর্তমানে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় জনতা মজদুর সেলের সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি গোপাল সরকার। প্রথম থেকেই তিনি সংঘের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই তাকে পর্যবেক্ষক করার পেছনে যেমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলানোর টার্গেট রয়েছে, ঠিক তেমনই বিজেপির সংগঠনে সঙ্ঘের নিয়ন্ত্রণ যে রয়েছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে যেভাবে মাফুজা খাতুনকে এই জেলার পর্যবেক্ষক থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, তাতে কি তিনি ক্ষিপ্ত হলেন না? বস্তুত, বর্তমানে নদীয়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি মহাদেব সরকারের সঙ্গে বর্তমান জেলা সভাপতি আশুতোষ পালের বিরোধ তুঙ্গে। মাঝে মহাদেববাবুর অনুগামীদের পক্ষ থেকে সেই আশুতোষ বাবুকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়তে শুরু করলেও, তা সামাল দিতে কার্যত ব্যর্থ হন এখানকার পর্যবেক্ষক মাফুজা খাতুন।

স্বাভাবিক ভাবেই তার ভূমিকা নিয়ে দলের অন্দরে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গোপাল সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে দায়িত্ব পেয়েই সংগঠনের কাজে মনোনিবেশ করার কথা শোনা গেছে গোপালবাবুর গলায়। এদিন তিনি বলেন, “দলকে নির্বাচনমুখী করা এবং আলোচনার মাধ্যমে দলের সবাইকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে তৃনমূলকে নিশ্চিহ্ন করাই হবে আমার প্রধান কাজ।”

স্বাভাবিকভাবেই মাফুজা খাতুন জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে না পারার জন্য তাকে সরিয়ে দিয়ে গোপাল সরকারকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হল। এখন গোপালবাবু সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামাল দিয়ে এখানে সংগঠনকে কতটা মজবুত করতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!