এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির কারা কারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস!

বিজেপির কারা কারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই পরিস্থিতির বদল হতে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের যে সমস্ত হেভিওয়েট নেতা নেত্রী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন, তারা আবার এখন তৃণমূলমুখী হওয়ার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই সোনালী গুহ থেকে শুরু করে সরলা মুর্মু,‌ তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ছয় মাস দলবদলুদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না।

আর এই পরিস্থিতিতে যারা দলবদল করতে চেয়ে তৃণমূলের কাছে আবেদন করেছিলেন, তারা যে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবার বিজেপির কারা কারা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, সেই ব্যাপারে মন্তব্য করে কার্যত শোরগোল ফেলে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। স্বাভাবিক ভাবেই কুণালবাবুর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

বস্তুত, বর্তমানে আবার ঘর ওয়াপসির মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে যারা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা আবার আবেদন করছেন। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “শুধুমাত্র দল থেকে যাওয়া ব্যক্তির নয়, বিজেপির 7 থেকে 8 জন বিধায়ক এবং তিনজন সাংসদ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদি এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে সবাই সেটা জানতে পারবেন।”

বলা বাহুল্য, তৃণমূলের যারা প্রাক্তন নেতা-নেত্রী, তারা বিজেপিতে গিয়ে এখন কার্যত সমস্যার মুখে পড়েছেন। তারা আশা করেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গঠন হবে। কিন্তু তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই কার্যত পুরনো দলে ফিরতে চেয়ে দলনেত্রীর কাছে আবেদন করতে শুরু করেছেন একের পর এক নেতা-নেত্রীরা।

তবে শুধু দল থেকে বিরোধী দলে নাম লেখানো নেতা-নেত্রীরা নন, বিজেপির অনেক সাংসদ এবং বিধায়ক যে তৃণমূলে আসতে চেয়ে আলোচনা শুরু করেছেন, তা কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। যার ফলে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করল রাজ্যজুড়ে। পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি তৃণমূল মুখপাত্রের এই দাবি সত্যি হয়, তাহলে বড় অসস্তি মুখে পড়তে হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কেননা যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ফলে তারা আবার পুরনো দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করতে শুরু করেছেন।

আর তার মাঝেই বিজেপির অনেক বিধায়ক এবং সাংসদ যদি ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে চেয়ে আবেদন করেন, তাহলে গেরুয়া শিবিরের কাছে তা যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে বিজেপির সংগঠন নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে, ঠিক তেমনই তারা কিভাবে ভবিষ্যতে এই দলবদলকে আটকে সংগঠনকে ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূল মুখপাত্রের এই বক্তব্যের পর কোন কোন বিজেপির জনপ্রতিনিধি ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন! এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!