এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির ‘কাটমানি’র জবাব এবার হাতের মুঠোয় তৃণমূলের, জেনে নিন কি পাল্টা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির

বিজেপির ‘কাটমানি’র জবাব এবার হাতের মুঠোয় তৃণমূলের, জেনে নিন কি পাল্টা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত দুটি বিশেষ প্রকল্প কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা ও আয়ুষ্মান ভারত যোজনা পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে বিশেষ অনীহা ছিল রাজ্য সরকারের। সম্প্রতি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রাজ্যে দুটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করার ব্যাপারে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই দুটি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বিষয়ে আবেদন জানিয়ে পত্র দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই দুটি প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করা হলেই, রাজ্যে এই প্রকল্পদুটি চালু করতে রাজ্য সরকার আগ্রহী।

এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে রাজ্য বিজেপি দলের এক বিশেষ দলীয় কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্য সরকারকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুললেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র
অভিযোগ, মূলত কাটমানি লাভের জন্যই কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পর বরাদ্দ অর্থ নিজের হাতে পেতে চায় রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এই বিক্ষোভ শামিল হয়েছে একাধিক বিরোধী দল সহ, দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলিও। তৃণমূল সরকারও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করেছে। কৃষিবিলের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি রাজ্য সরকারের বিরোধিতা প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্যসরকারের কাটমানির কারণকেই দায়ী করেছেন।

গতকালের বিজেপির দলীয় কর্মসূচির সভা মঞ্চ থেকে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন, ” কিষাণ সম্মান নিধির টাকা সরাসরি চাষির অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। রাজ্যে কাটমানির সরকার চলছে।। তাই এখানে তা চালু করা হয়নি। কৃষি বিল চালু হলেও কাটমানি মিলবে না।” এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কেন্দ্র আনীত নয়া কৃষি বিলের উপকারিতার প্রসঙ্গে জানালেন, ” এ রাজ্যে চাষি তাঁর ফসল মান্ডিতে বিক্রি করতে গেলে মাঝে সোসাইটি রয়েছে। সোসাইটি চালায় তৃণমূল। এই বিলের ফলে তৃণমূলের পকেটে আর সেই টাকা যাবে না। তাই এত বিরোধিতা।” আবার কেন্দ্র প্রস্তাবিত এই নয়া কৃষি বিলের বিশেষ প্রশংসা করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বলতে শোনা গেল, ” কৃষকদের স্বাধীনতা দিয়েছে এই বিল। দেশের যে কোনও জায়গায় যেখানে বেশি দাম পাবেন, সেখানেই ফসল বিক্রি করতে পারবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, সারা দেশ জুড়ে নয়া কৃষি বিলের বিরোধিতার আবহে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের পক্ষে বিশেষ প্রচারে নামতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপিকে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, আগামী ২৮ সে সেপ্টেম্বর থেকে কৃষি বিলের পক্ষে রাজ্যের কৃষক তথা রাজ্যবাসীকে অবগত করতে সপ্তাহব্যাপী রাজ্যের সমস্ত ব্লক জুড়ে পদযাত্রার আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন হাটে, বাজারে, চায়ের দোকানে কৃষকদের এই বিল সম্পর্কে বোঝাতে চলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল দলের মহিলা ও ছাত্র সংগঠন এই বিলের বিরুদ্ধে যেমন প্রতিবাদ জানালো, তেমনি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হল তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষক সংগঠন। আজ শুক্রবার ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এ বিষয়ে একটি বিরাট সভার আয়োজন করতে চলেছেন তৃণমূল কৃষক সংগঠনের সভাপতি বেচারাম মান্না। এমনটাই তৃণমূল সূত্রের খবর।

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ” কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে রাজ্যের অর্থও থাকে। তাই নির্বাচনের আগে সরাসরি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তা নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে দেব না। সাংবিধানিক ব্যবস্থা মতোই রাজ্য এই প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাব দিয়েছে।”

আবার, বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে কাটমানির অভিযোগ তুলেছিলেন, তার জবাবে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্য, ” কাটমানি’ সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে সুখেন্দুবাবু বলেন, ”লুটের অতীত আছে এমন লোকেদের মানসিকতার মধ্যে এ সব বসে আছে। তাই নিজেদের অভিজ্ঞতার বাইরে তাঁরা ভাবতে পারেন না।” আবার কেন্দ্র প্রস্তাবিত কৃষি বিল ও সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে বলতে শোনা গেল, “নীলচাষ নিয়ে বিদ্রোহের মুখে পড়ে ব্রিটিশ সরকারও সেই আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছিল। বিজেপি সরকারকেও সেই পথে হাঁটতে হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!