এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জনসভায় দেখা মিলল না ভিড়ের, তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জনসভায় দেখা মিলল না ভিড়ের, তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। শেষ বেলার প্রস্তুতি সারতে উঠে-পড়ে লেগেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম প্রত্যেকেই নিজের মতন করে রাজ্যজুড়ে চালাচ্ছেন প্রচার। তবে রাজনীতির কারবারিরা মনে করেন ভোটের বাজারে মানুষই হচ্ছে আসল। 

তাই মানুষকে রাজ্যবাসীকে পাশে পেতে প্রতিটি দল নিজের মতো করে চেষ্টা চালায়। যার সভায় যেরকম ভিড় হয়, সেটাকেই জয়ের মাপকাঠি হিসেবে ধরে হিসেব-নিকেশ করা হয়। কিন্তু এযাবৎকালে বিভিন্ন সময়ে শোনা যাচ্ছে, বাংলায় প্রথম দিকে বিজেপি নেতাদের সভায় যেভাবে মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছিল সেই ভিড় কিন্তু আস্তে আস্তে পাতলা হচ্ছে।

সম্প্রতি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সভায় ভিড় না হওয়ার কারণে সভা বাতিল করতে হয়েছে। এই নিয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। তারপর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভাতেও সেভাবে ভিড় হয়নি বলে গুঞ্জন। আর এবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল।

 রবিবার পুরুলিয়ার কাশীপুরে সেবাব্রতী সঙ্ঘের মাঠে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচারে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। কিন্তু কার্যত দেখা গেল, গেরুয়া শিবির তাঁকে নিয়ে এসে নির্বাচনী জনসভা করালেও জনসভায় জনগণের দেখা মিললনা। যথারীতি জঙ্গলমহলে এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই চিন্তা ধরাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের। এদিনই রেলমন্ত্রীর জনসভা চলাকালীন ওই মাঠের অন্যান্য অংশ জুড়ে তৃণমূল নেত্রীর সভার জন্য মাঠ প্রস্তুত করার কাজ চলছিল। 

প্রসঙ্গত, আগামী মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মাঠে সভা করবেন। কিন্তু দেখা যায়, পীযূষ গোয়েল এর সভার শুধু পেছনদিকেই নয়, মাঝখানেও একাধিক চেয়ার ফাঁকা। অথচ মঞ্চে কিন্তু বিজেপির যথেষ্ট হেভিওয়েট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যেমন কাশীপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা, বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত রবিবার রেলমন্ত্রীর সভা শুরু হয় বেলা আড়াইটে। মাঠ ভর্তি না থাকলেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় রেখে আক্রমণ শুরু করেন। পরিবারতন্ত্র থেকে শুরু করে সিন্ডিকেট, কাটমানি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন। 

পাশাপাশি রেলমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যের বিকাশ আটকে যাচ্ছে ডবল ইঞ্জিন সরকার না থাকার কারণে। ওদিকে কাশীপুরের বিধায়ককে নিয়ে রেলমন্ত্রী যেভাবে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে অবশ্য পাল্টা দিয়েছেন কাশীপুরের তৃণমূল প্রার্থী স্বপন বেলথরিয়া।

পাল্টা তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপিতে কি একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি রাজনীতি করেননা? নিয়ম যদি হয়, তাহলে সবার জন্যই হওয়া উচিত। তবে সব থেকে বেশি গেরুয়া শিবিরের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালো এদিন জঙ্গলমহলে গেরুয়া সভায় জনসমাগম না হওয়া। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু এই জঙ্গলমহল থেকেই বিপুল ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তাহলে কি এবার অশনিসংকেত দেখা যাচ্ছে বিজেপির জন্য? এক বছরের মধ্যেই কি গেরুয়া শিবিরকে পিছিয়ে দিল জঙ্গলমহলে তৃণমূল? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছুদিন পরেই।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!