এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপির নতুন কর্মসূচিতে ঘুম উড়েছে তৃণমূলের? পাল্টা কর্মসূচিতে জমজমাট রাজনৈতিক ময়দান?

বিজেপির নতুন কর্মসূচিতে ঘুম উড়েছে তৃণমূলের? পাল্টা কর্মসূচিতে জমজমাট রাজনৈতিক ময়দান?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গ নিয়ে বরাবরই চাপে রাজ্যের শাসক শিবির। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গ থেকে রীতিমতো ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে তৃণমূল দল। সামনে আসছে বিধানসভার নির্বাচন। বাংলার মসনদ দখলের লক্ষ্যে এবার উত্তরবঙ্গকে যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে দেখা যায়, গেরুয়া শিবিরের রমরমা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। আর এবার উত্তরবঙ্গকে ছিনিয়ে নিতে রীতিমতো পরিকল্পনা করে রাজনৈতিক ময়দানে নামতে চলেছে ঘাসফুল শিবির বলে মনে করা হচ্ছে।

সেই অনুযায়ী এবার বিজেপির পাল্টা তৃণমূলের অস্ত্র হতে চলেছে লিফলেট বিলি। সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নরেন্দ্র মোদির চিঠি বিলি করা হয়েছে। আর এবার তৃণমূলের পালা। সূত্রের খবর, কালচিনিতে এবার বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় লিফলেট বিলি করবে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, যার মধ্যে একটি লিফলেট থাকবে প্রধানমন্ত্রীর চিঠির অস্বচ্ছতা সম্পর্কে বিশদ তথ্য এবং অন্য একটি লিফলেটে থাকবে রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের বিস্তারিত কথা। এই লিফলেট বিলির কর্মসূচি চলবে চলতি মাসের 11 থেকে 13 তারিখ পর্যন্ত।

যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, রাজ্য তৃণমূল শিবির থেকে কোনরকম লিফলেট এখনো পর্যন্ত আসেনি। তাই জেলা তৃণমূল শিবির থেকেই 25 হাজার লিফলেট ছাপানো হবে এবং তা বিলি করা হবে। হিন্দি লিফলেট কেন প্রশ্ন ওঠায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কালচিনি ব্লকের বেশিরভাগ মানুষ চা বাগানের শ্রমিক। এবং তাঁরা অনেকেই বাংলা বোঝেন না। এমনকি বাংলা পড়তেও পারেননা। সেই কারণেই হিন্দিতে লিফলেট ছাপানোর কাজ চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিজেপির আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূলের এই কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, মানুষ যে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে আছে তা গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল খুব ভালোভাবেই টের পেয়েছে। 2016 সালের বিধানসভা ভোটে কালচিনিতে পনেরশো ভোটে জিতেছিল তৃণমূল। এবং তখন দলের বিধায়ক হয়েছিলেন উইলসন চম্প্রমারি। যদিও তিনি পড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের হাতে আসে ব্লকের 11 টি আসন। এই নিয়েও সে সময় তুমুল বিতর্ক হয় বলে খবর।

বিরোধীরা অভিযোগ করে, একতরফা নির্বাচনের কারণে তৃণমূল শিবির এলাকা দখল করেছে। এবং 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে ছবিটা যে পুরো পাল্টে যায়, তা এতদিনে সবাই দেখে নিয়েছে। কালচিনি জেলা পরিষদের মেন্টর হিসেবে পরিচিত মোহন শর্মাকে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে শাসকদল পিছিয়ে যাওয়ায় যথারীতি তাঁকে তার পদ হারাতে হয়। এবং পরবর্তীতে জেলা সভাপতির পদ গ্রহণ করেন তৃণমূলের মৃদুল গোস্বামী। রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই মত, লোকসভা ভোটে তৃণমূল শিবির পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এবার তাঁরা হারানো জমি পুনরুদ্ধারে প্রবল জোর লাগিয়েছে।

আর সেই কারণে বাংলা, নেপালি, আদিবাসী সমস্ত সম্প্রদায়কে নিজেদের দিকে টানার কারণেই আলাদা করে হিন্দিতে লিফলেট ছাপার কাজ চলছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে তার সঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, উত্তরবঙ্গের হারানো জমি তৃণমূল শিবির কতটা উদ্ধার করতে পারবে তা নিয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে গেরুয়া শিবির যে এত সহজে মাটি ছেড়ে দেবে না, সে কথা কিন্তু তাদের সংগঠনের শক্তি বাড়ানো দেখে স্পষ্ট বলা যায় বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তবে কালচিনিতে লিফলেট ছাপিয়ে তৃণমূল শিবির গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরাতে পারে কিনা, সেদিকেই এখন লক্ষ্য থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!