প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। বিন্দুমাত্র সচেতনতা না থাকায় তা ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। দ্বিতীয় ধাপের এই ভাইরাস প্রথম ধাপের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে বেশকিছু রাজ্যে আংশিক লকডাউন বা নাইট কার্ফুর মত পরিস্থিতি তৈরি হলেও পশ্চিমবঙ্গে সেরকম কিছুই হতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু প্রথম ধাপের থেকে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন চলায় কোন দিকে এগোবে গোটা পরিস্থিতি, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।

একাংশ বলছেন, অবিলম্বে লকডাউনের মত পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত। না হলে ভোটের পর তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের টিকাকরন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত আটটায় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরেই বারাসাতের সভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বারাসাতের প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তিনি। আর সেখানেই করোনা ভাইরাসের টিকাকরন নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “এত লোকের কোভিড হয়েছে। বিজেপির পার্টি অফিস থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারটাকে দলের ভবনে নিয়ে গিয়েছে।” আর ভোটের সময় যখন করোনা ভাইরাস বাড়ছে, তখন বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ যে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দেবে রাজ্য জুড়ে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই লকডাউন এর বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন। যেখানে লকডাউন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও তিনি কোনোভাবেই তা ভোটের মরসুমে করতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর এই পরিস্থিতিতে মিটিং-মিছিল কিছুতেই তেমন ভাবে বিধিনিষেধ না মানায় দিনকে দিন করোনা ভাইরাস বাড়তে শুরু করেছে।

টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও কেন তা সব মানুষের কাছে পৌঁচ্ছচ্ছে না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা বিজেপিকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।