এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির প্রভাবমুক্ত করে এই পৌরসভা কি দখল করতে পারবে তৃণমূল? নির্বাচনের আগে শুরু চর্চা!

বিজেপির প্রভাবমুক্ত করে এই পৌরসভা কি দখল করতে পারবে তৃণমূল? নির্বাচনের আগে শুরু চর্চা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে একাধিক মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভার নির্বাচন করতে পারেনি রাজ্য সরকার। তবে ক্রমাগত বিরোধীরা সেই নির্বাচন করানোর ব্যাপারে রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করেই চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে একাধিক মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার নির্বাচন পুজোর আগে এবং পরে হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে পৌরসভা নির্বাচনের দামামা বাজার আগে এবার উত্তর 24 পরগনা জেলার অন্যতম পৌরসভা অশোকনগর-কল্যাণগড় পৌরসভাকে নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার এই পৌরসভা নির্বাচনে কে এগিয়ে, আর কে পিছিয়ে, সেটাই চর্চার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। মূলত, বামফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই পৌরসভা। তবে 2011 সালে রাজ্যে পালাবদল হওয়ার আগে ধীরে ধীরে এখানে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।

2010 সালে এই পৌরসভা বামেদের থেকে কেড়ে নিয়ে এখানে তৃণমূলের আধিপত্য ঘটে। পরবর্তীতে 2015 সাল পর্যন্ত তৃণমূলের দখলে এই পৌরসভা থাকার পর 2015 সালের নির্বাচনে আবার এখানে শাসনক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তারপর পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যখন ক্রমাগত বিজেপির প্রভাব বাড়ছে এবং বিরোধী দলের ক্ষমতা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন এই পৌরসভায় একদিকে বিজেপির প্রভাব এবং অন্যদিকে তৃণমূলের আধিপত্য সহ বিগত দিনে বামফ্রন্টের প্রভাব বিস্তার, নানা বিষয় সামনের সারিতে উঠে আসতে শুরু করেছে।

একাংশ বলছেন, এখানে তৃণমূলের আধিপত্য থাকলেও, বেশ কিছুদিন ধরেই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল সবথেকে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সামনে পৌরসভা নির্বাচন হতে পারে, এই ভাবনাকে সামনে রেখে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জয়লাভ করার পর সেখানকার গোষ্ঠী কোন্দল সামাল দেওয়া প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের। একইভাবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে এই পৌরসভা দখল করা আরম্ভ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। সিপিএমের ব্যাপক নেতা কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাদের সেই আশা পূর্ণ হয়নি। তাই নির্বাচনে বিজেপির অনেকে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে শুরু করেছেন। ফলে সেটাও শাসক দলের কাছে বাড়তি হাতিয়ার হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর এই সমস্ত বিষয় এবং সমীকরণ কে সামনে রেখে তৃণমূল ক্রমশ আশাবাদী যে, অশোকনগর- কল্যাণগড় পৌরসভা এবারেও তাদের দখলে থাকবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করার পর তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠেছে। সেদিক থেকে বিজেপি বিরোধী দলের ক্ষমতা দখল করলেও, এখন বিজেপির অনেক নেতা নেত্রীরা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে পৌরসভা নির্বাচন হলেও, তৃনমূলের কাছে তা অতটা চাপের হয়ে দাড়াবে না বলেই মনে করছেন শাসক দলের একাংশ।

যদিও বা অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, বিধানসভার ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, অনেক পৌরসভাতেই তৃনমূলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এখন থেকেই যদি সংগঠনের দিকে নজর না দেয় ঘাসফুল শিবির, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে তা অবশ্যই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পৌরসভা নির্বাচনের দামামা কবে বাজে এবং তারপর অশোকনগর- কল্যাণগড় পৌরসভা দখল করতে তৃণমূল নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!