বিজেপির পুরসভা ঘেরাও অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের, জেনে নিন কি বললেন তিনি, কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের বিরুদ্ধে পুরসভা ঘেরাও অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপিকে এর অনুমতি দেয়া হয়নি। করোনা সংক্রমনের কারণ দেখিয়ে বিজেপিকে এর অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই অভিযানে নেমেছিল বিজেপি। তবে, পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার কারণে শেষ পর্যন্ত পুরসভার কাছে পৌঁছাতে পারেনি বিজেপি। বিজেপির এই অভিযান প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন, বাংলাতে একটি কথা আছে, যা হলো নেই কাজ তো খই ভাজ। মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভোটের আগে বিজেপিতে যেরকম হৈহৈ দেখা গিয়েছিল, এখন আর সেটা নেই। লোকজন খুব বেশি দেখা যায়নি। তিনি জানালেন, পুলিশের অনুমতি না নিয়েই আন্দোলন করতে চেয়েছে বিজেপি। তাঁরাও আন্দোলন করেছেন। সবকিছুর একটা নিয়ম কানুন আছে। একটা রুট বলতে হয়। কিছু না মেনে জোর করে রাস্তা বন্ধ করে মাঝখান দিয়ে যাওয়াটা কোনো আন্দোলন নয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল খুব অল্প সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে পুরসভা ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। পরিবহন গত সমস্যার কারণেই বেশি লোকজন জড়ো করা সম্ভব হয়নি। প্রধানত যুব মোর্চার পক্ষ থেকে এই অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। পুলিশের নজর এড়াতে মিছিলের রুট পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু সেন্টাল এভিনিউর কাছে আসতেই বিজেপির নেতা কর্মীদের পুলিশ আটকে দেয়। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ ১২০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। অগ্নিমিত্রা পাল জানান, যারা ভুয়ো টিকা দিয়েছিলেন, তাদেরকে গ্রেফতার না করে, যারা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। কলকাতা পুরসভার চারপাশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। জলকামান, মোবাইল ভ্যান সমস্ত কিছু নিয়ে নেমেছিল পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে যথেষ্ট ধস্তাধস্তি হয়েছিল বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী অভিযোগ করেছেন, তাঁর বুকে ঘুসি মেরেছে পুলিশ। গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে মহামারী আইনের নামে দমন করা হয়েছে। কর্মসূচি শুরু করতে দেয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যজুড়ে হিংসা চলছে, বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। টিকা নিয়ে দুর্নীতি চলছে। টিকা দেবার নেমে করে কোথাও টাকা নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলন চলবে। কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় জেলায় চলবে অবস্থান-বিক্ষোভ। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা প্রতিবাদ দেখাতে গেলেই করোনা সংক্রমণের অজুহাত দেখিয়ে তাঁদের রুখে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল যদি জমায়েত করে, তবে কোন বিধি থাকছেনা। তখন করোনা ছড়াচ্ছে না। আপনার মতামত জানান -