এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপির সাধের মতুয়া ভোটে কি লাগতে চলেছে বড়সড় ধাক্কা? দলীয় সাংসদের প্রশ্নে টলমল গেরুয়া শিবির

বিজেপির সাধের মতুয়া ভোটে কি লাগতে চলেছে বড়সড় ধাক্কা? দলীয় সাংসদের প্রশ্নে টলমল গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবির থেকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী মতুয়াদের ভোট ব্যাংক গেরুয়া শিবির নিজেদের নামাঙ্কিত করে নিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন মিটে গেল গেলেও এখনো পর্যন্ত মতুয়ারা নাগরিকত্ব পাননি। আর তাই নিয়েই কিন্তু ক্রমশ মতুয়াদের ক্ষোভ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই নিয়ে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর কিন্তু বারংবার গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তির কারণ হচ্ছেন। বিভিন্ন সময় শান্তনু ঠাকুর কিন্তু গেরুয়া শিবিরের প্রতি তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন।  যদিও বিজেপির নেতারা শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু তা সত্বেও বিশেষ কোনো লাভ হচ্ছেনা।

সম্প্রতি নদিয়ায় মতুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা গেল, তিনি বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঘাধিপতি। তাই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন নাগরিকত্ব নিয়ে। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি হাবিবপুর গিয়ে দিয়ে এসেছিলেন মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মতুয়ারা এদেশের নাগরিক। তাই তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর এ দিন জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

2003 সালে যে আইন পাস হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে 1950 সালের পরে কেউ যদি ভারতে জন্ম গ্রহণ না করেন, তাহলে তাঁদের ছেলেমেয়েরা নাগরিকত্ব পাবেনা। শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইনকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। সারা জীবন তিনি যখন মতুয়াদের দায়িত্ব নেবেননা তাহলে এই কথা তিনি কিভাবে বলছেন? সূত্রের খবর, আগামী 30 শে জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বনগাঁ ঠাকুরনগর এসে জনসভা করার কথা এবং মতুয়াদের সভাতে মতুয়াদের উপস্থিতি যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, সেকথা ভালো মতই জানে রাজ্য গেরুয়া শিবির। আর তাই মতুয়াদের অমিত শাহের সভায় হাজির করানোর জন্য ইতিমধ্যে জায়গায় জায়গায় চলছে মতুয়া জাগরণী সভা।

সবমিলিয়ে মনে করা হচ্ছে, মতুয়ারা কিন্তু নাগরিকত্ব অধিকার নিয়ে এবার একুশের আগে সুর চড়াবে। পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুরও যে একটু একটু করে গেরুয়া শিবিরে বেসুরো হয়ে পড়ছেন তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। বনগাঁর সাংসদকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরেও শুরু হয়েছে জল্পনা। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগে এসে জানিয়ে গিয়েছিলেন করোনার টিকা দেওয়া শুরু হলে নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে রাজ্যে। করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে গত শনিবার থেকে এই রাজ্যে। তাহলে এবার কি নাগরিকত্ব আইন জারি করার সময় এসে গেছে? নজর থাকবে 30 শে জানুয়ারির অমিত শাহের সভায়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!