এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপির ‘থাবা’ থেকে সরকার বাঁচাতে এবার রাষ্ট্রপতির দরবারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? তবে জল্পনা

বিজেপির ‘থাবা’ থেকে সরকার বাঁচাতে এবার রাষ্ট্রপতির দরবারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? তবে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল পাইলট শিবির। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজস্থানের মন্ত্রীসভা ঘিরে চলছে বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের সঙ্গে তীব্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ইতিমধ্যে শচীন পাইলট বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁর অনুগামীদের নিয়ে। অন্যদিকে তড়িঘড়ি রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অশোক গেহলট কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকেন দলীয় হুইপ জারি করে।

প্রত্যাশিতভাবেই এই বৈঠকে শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীরা যোগদান করেননি। আর তার পরেই রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশী পাইলট এবং তাঁর অনুগামীদের বিধায়ক পদ বাতিলজনিত প্রশ্ন তোলেন। তড়িঘড়ি শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীরা রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অন্যদিকে শচীন পাইলটদের কোণঠাসা করতে রাজস্থানের স্পিকার সোজা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এই অবস্থায় পাইলটদের পক্ষে আগেই সুপ্রিম কোর্টের রায় গেছে। আর এবার রজস্থান হাইকোর্টও তাঁদের পক্ষে রায় দিয়েছে।

হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে শচীন পাইলটসহ তাঁর অনুগামী বিধায়কদের কোনভাবেই ডিসকোয়ালিফাইডের দলে ফেলা যাবে না। আর তারপরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সোজা পৌঁছে যান রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে। অন্যদিকে গেহলট অনুগত যাঁরা, তাঁদেরকে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভায় যাতে কোনরকম শক্তি পরীক্ষা না হয় তার জন্য চক্রান্ত চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, আগামী সোমবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু করার জন্য আশোক গেহলট রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অনুগত বিধায়করা এই মুহূর্তে রয়েছেন জয়পুরের ফেয়ারমন্ট হোটেলে। বিধানসভার গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক তাঁর সাথে আছেন বলে ইতিমধ্যে দাবি করেছেন অশোক গেহলট। অন্যদিকে রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হলে 21 দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। সে জায়গায় মন্ত্রীসভা থেকে তাঁকে শুধুমাত্র একটি নোট পাঠানো হয়েছে। এবং বলা হয়েছে, বিধানসভার অধিবেশন শুরু করার জন্য।

কিন্তু কবে থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো কথা লেখা নেই নোটটিতে বলে জানিয়েছেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। তবে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, বিজেপির ষড়যন্ত্র আটকাতে তিনি খুব শিগগিরই রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন। অন্যদিকে শচীন পাইলটসহ বিদ্রোহী বিধায়করা জানিয়েছেন, তাঁদের একটাই দাবি, রাজস্থান কংগ্রেস নেতৃত্বের বদল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজস্থানের রাজনৈতিক আবহ যত দিন যাচ্ছে, ততই আরো জটিল হয়ে পড়ছে।

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বর্তমানে কংগ্রেস শিবিরে চূড়ান্তভাবে প্রকট হয়ে উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ। আর সে কারণেই জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্থান নিয়ে আপাতত ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ পাইলট-গেহলট দ্বন্দের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শিবির বিশেষ কোনো মন্তব্য করেনি। আপাতত রাজস্থানের রাজনৈতিক জল কতদূর গড়ায়, এখন সেদিকেই লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!