এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়েই কি তৃণমূল ধরাচ্ছে ভাঙন? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন!

বিজেপির তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়েই কি তৃণমূল ধরাচ্ছে ভাঙন? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়মিত খবরের শিরোনামে থাকলেও বর্তমানে কিন্তু রাজ্যে দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। এবার বিরোধী দলেও শুরু হয়েছে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তা নিত্যদিন বেড়ে উঠছে। অনেকেই তৃণমূল শিবিরে যে ব্যাপক যোগদান চলছে গেরুয়া শিবির থেকে, তার পেছনে বিজেপির নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মসনদ দখল। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই রাজ্যজুড়ে গেরুয়া সংগঠনে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের এই সাংগঠনিক পরিবর্তনের হাত ধরে দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও কোন্দল।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, গেরুয়া শিবিরের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে জায়গায় জায়গায় তৃণমূল শিবির। ঠিক এরকমই ঘটলো বুধবার পটাশপুরে। সূত্রের খবর, বুধবার পটাশপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা সহ প্রায় 300 জন কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তা শাসক দল মানছে না দলবদলের ক্ষেত্রে বলে দাবি তুলেছে এলাকার বিজেপি শিবির। পটাশপুর-1 ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত একসময় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু 2012 সালে মাথাচাড়া দেয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং একদিকে বর্তমান তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি প্রভুরাম দাস অন্যদিকে মোহন মন্ডল শিবির- এই দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যায় পটাশপুরের তৃণমূল শিবির।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল শিবির এরপর যোগ দেয় বিজেপিতে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মোহন মণ্ডল ও মোহন শী, অজয় মান্নার নেতৃত্বে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সংগঠন মজবুত হয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিভিন্ন অভিযোগে তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। ফলস্বরূপ 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই এলাকায় ভোটে এগিয়ে যায়। জানা গেছে, লোকসভা নির্বাচনের পর বেশ কিছুদিন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিস পর্যন্ত খোলা যায়নি এই এলাকায়। পরে অফিস খুললেও পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান সহ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন দীর্ঘদিন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির দিকে অভিযোগ ওঠে, তাঁদের চাপে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে নেন। এমনকি উপপ্রধান অফিসে এলে তাঁকে মারধোরও করা হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সেই সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। কিন্তু এর পরেই দৃশ্যপট বদল হতে শুরু করে। গত বছরে বিজেপির মন্ডল সভাপতি পদ নিয়ে শুরু হয় গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রকাশ্যে আসে বিজেপির জেলা প্রাক্তন কৃষক মোর্চার সভাপতি মোহনলাল শী গোষ্ঠী বনাম বর্তমান মন্ডল সভাপতি বনমালী পাত্রর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে মোহন মণ্ডল, অজয় মান্নার নেতৃত্বে আরও একবার দলবদল করেন একদা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এদিন গোপালপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দলবদলকারীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন ব্লক সভাপতি তাপস মাজি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা পীযূষ পন্ডা, প্রভুরাম দাস প্রমুখ। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী দাবি করেছেন, তৃণমূল প্রলোভন দেখিয়ে দু’একজন বিজেপি কর্মীদের দলবদল করিয়েছে। কিন্তু বাকিরা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। সুতরাং বিজেপিতে তাঁরা কখনোই আসেনি এবং বিজেপি থেকে দলবদলের কোন প্রশ্নই উঠছে না। এদিন জেলা বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তাঁদের দলে কোন রকম কোন্দলের জায়গা নেই। যা হচ্ছে তা তৃণমূলের মিথ্যাচার।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শুরু থেকে যেভাবে গেরুয়া শিবির রাজনৈতিক মসনদ দখলের লড়াইয়ে নেমেছে, সেখানে যদি এভাবে তাঁদের দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ভাঙন শুরু হয়, তাহলে অচিরেই তাঁরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হবেন। তবে মনে করা হচ্ছে, রাজ্যজুড়ে যেভাবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে, তাতে এবার গেরুয়া শিবির চরম অস্বস্তির মুখে। অন্যদিকে বলাইবাহুল্য এই তীব্র গেরুয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ এইমুহুর্তে নিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক জোর বাড়াচ্ছে শাসকদল তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!