এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লক্ষ্য একুশের মহাযুদ্ধ! বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় পরিবর্তন গেরুয়া শিবিরের, দায়িত্বে একাধিক হেভিওয়েট

লক্ষ্য একুশের মহাযুদ্ধ! বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় পরিবর্তন গেরুয়া শিবিরের, দায়িত্বে একাধিক হেভিওয়েট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের একের পর এক রাজ্যে চলছে বিধানসভার নির্বাচন। সদ্যই শেষ হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন, এবার সামনে আসছে গুরুত্বপূর্ণ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আর তা এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যেই এবার বাংলা জেতার লক্ষ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। শুধু বাংলার জন্যই নয়, আগামী দিনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসতে চলেছে, সে কথা মাথায় রেখেই এবার বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষকের দায়িত্বের একাধিক বদল ঘটল বলে জানা যাচ্ছে। বাংলায় গেরুয়া শিবিরের পর্যবেক্ষকদের দায়িত্বে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

এবার তার সাথে বাংলার দায়িত্ব পেলেন বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্য। বাংলায় সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর তাই রাজ্যের দায়িত্বে থাকা নেতাদের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিহার বিধানসভার নির্বাচন শেষ গেলেও বিহারের বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন ভূপেন্দ্র যাদব। বিহারের সাথে সাথে গুজরাটেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ মুরলীধর রাও। অন্যদিকে মণিপুরের দায়িত্বে ছিলেন এতদিন বিজেপি নেতা রাম মাধব। এবার তাঁর জায়গায় এলেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।

তবে এবার অমিত শাহের 2 ঘনিষ্ঠ অনিল জৈন ও সরোজ পাণ্ডের ওপর কোন রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আগামী বছর বাংলার পাশাপাশি আসামেও হবে বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে নজর রেখে সেখানকার বিজেপি পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডাকে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে যিনি ছিলেন অর্থাৎ রাধা মোহন সিং, এবার তাঁর সাথে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সত্য কুমার, সুনীল ওঝা ও সঞ্জীব চৌরাসিয়াকে। রাধা মোহন সিং শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বই পাননি, তিনি পাশাপাশি রাজস্থানের দায়িত্বেও রয়েছেন বলে জানা গেছে। মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সি টি রবি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিল্লিতে দায়িত্বে রয়েছেন তরুণ চুগ। তিনি এবার থেকে জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, তেলেঙ্গানার বিজেপি পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ডি পুরন্দেশ্বরী ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। পাঞ্জাব, চন্ডীগড়, উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব রয়েছেন বিজেপির আরো এক সাধারণ সম্পাদক দুষ্যন্ত গৌতমের উপর। ঝাড়খন্ড ও অরুণাচল প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছ দিলীপ শাকিয়াকে। অন্ধপ্রদেশের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরণ। একই সাথে তাঁকে সাহায্যের জন্য রয়েছেন সুনীল দেওধর। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডা দায়িত্ব নেওয়ার পর এই রদবদল হলো।

পরিষ্কার যেসব রাজ্যে অন্যান্য শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি ছাড়া, সেইসব রাজ্যকে নিজেদের আয়ত্তে আনতে গেরুয়া শিবির নিজেদের সংগঠনকে আরো বেশি শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিচ্ছে। আর তাই এবার এত বিপুল পরিবর্তন পর্যবেক্ষক শিবিরে। বলাই বাহুল্য, বিজেপি কিন্তু একের পর এক রাজ্য অধিগ্রহণ করেছে ইতিমধ্যেই। সদ্য শেষ হওয়া বিহার বিধানসভার নির্বাচনেও একই ছবি প্রকাশ পেয়েছে। যদিও সেখানে খুব সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল মহাজোটের বিজয়ী হবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপির হাতেই রাজ্যের ক্ষমতা উঠে আসে।

একুশের বিধানসভার নির্বাচন হওয়া দুটি রাজ্য হল বাংলা এবং আসাম। কিন্তু ইতিমধ্যেই আসামে বিজেপি সরকার রয়েছে কিন্তু বাংলায় রয়েছে তৃণমূল সরকার। তাই বাংলা জেতা বিজেপি শিবিরের কাছে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। কারণ, বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে সরিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করাই এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য। আর সেই উদ্দেশ্যেই বাংলার জন্য একজন পর্যবেক্ষকের বদলে দুইজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হলো। আপাতত  আর এত কিছু পরিকল্পনা করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট বাক্স গেরুয়া শিবির দখল করতে পারে কিনা!

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!