এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোন ফর্মুলায় ঘাসফুলের মায়া কাটিয়ে পদ্মশিবিরে রুদ্রনীল? কি ‘ডিল’ হল অমিত শাহের সঙ্গে?

কোন ফর্মুলায় ঘাসফুলের মায়া কাটিয়ে পদ্মশিবিরে রুদ্রনীল? কি ‘ডিল’ হল অমিত শাহের সঙ্গে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, 2019 এর মাঝামাঝি সময় থেকে তৃণমূলের সঙ্গে রুদ্রনীলের দূরত্ব বাড়ে। আর তারপরেই জন্মদিনের সন্ধ্যায় রুদ্রনীলের বাড়িতে শঙ্কুদেব পণ্ডার আগমন রুদ্রনীলের গেরুয়া শিবিরের যোগদানের জল্পনা আরও উসকে দেয়। সেই অনুযায়ী এদিন রুদ্রনীল অমিত শাহের বাড়িতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষের পাশাপাশি দলবদল করলেন। রুদ্রনীলের দলবদল নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা সর্বত্র। রাজনীতির প্রথম জীবনে রুদ্রনীল ঝান্ডা ধরেছিলেন বাম শিবিরের হয়ে। কাস্তে-হাতুড়ি-তারা ছিল তাঁর প্রধান অস্ত্র।

কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার প্রাক্কালে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ, সর্বহারার মতবাদ ঝেড়ে ফেলে সিপিএম পার্টি মেম্বারশিপ ছেড়ে রুদ্রনীল যোগ দেন তৃণমূলে। বেশ কিছুকাল তৃণমূলে কাটানোর পর সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদ লাভ করেন রুদ্র। কিন্তু এরপরেই কোথায় যেন তাল কাটে। শুরু হয় গন্ডগোল। রুদ্রর সাথে দলের দূরত্বের শুরু আর সেই দূরত্বই বাড়তে বাড়তে এবার দলবদল। শেষমেষ বিজেপিতে রুদ্রনীল। কথা ছিল রবিবার ডুমুরজলার যোগদান মেলায় অমিত শাহের হাত থেকেই দলবদল করে গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে নেবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশালী ডালমিয়াসহ অন্যান্যরা। একইসাথে রুদ্রনীল ঘোষেরও সেদিনই গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার কথা ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দিল্লী বিস্ফোরণের জন্য অমিত শাহ রাজ্যে না আসতে পারার দরুণ রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের চাটার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লীতে। কিন্তু রুদ্রনীল নিজেই দিল্লী যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে চাটার্ড বিমানে তাঁর জায়গা না হলেও রীতিমতো টিকিট কেটে দেওয়া হয়েছে তার দিল্লী যাত্রাপথের। অন্যদিকে রুদ্রনীলের দলবদল নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে বিভিন্ন কটাক্ষে। একের পর এক মিম শেয়ার হচ্ছে রুদ্রনীলকে নিয়ে। যদিও রুদ্রনীল ঘোষ এসব কিছুকে মোটেই পাত্তা দিতে রাজি নন। তাঁর কাছে এই মুহূর্তে মানুষের স্বার্থে কাজ করাই অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে বিগত দিনে রুদ্রনীলের রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা দেখে গেরুয়া শিবির তাঁকে কতটা গুরুত্ব দেবে, তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ আছে রাজনৈতিক মহলের। কোন দলেই এখনো পর্যন্ত থিতু হতে পারেননি রুদ্রনীল। তাই রুদ্রনীলের রাজনৈতিক জীবনে এটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সব বাধা কাটিয়ে রুদ্রনীল রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর সামনে। তাই দেখার, রুদ্রনীলকে রাজ্যের মানুষ কতটা কাছের করে নিতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!