এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিতে গিয়েই শীর্ষনেতৃত্বের হাঁড়ি ফাটিয়ে দিলেন এই হেভিওয়েট! নির্বাচনের আগে বাড়ছে অস্বস্তি

বিজেপিতে গিয়েই শীর্ষনেতৃত্বের হাঁড়ি ফাটিয়ে দিলেন এই হেভিওয়েট! নির্বাচনের আগে বাড়ছে অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই জাতীয় রাজনীতিতে মধ্যপ্রদেশ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শিবিরে লেগেছিল ভাঙ্গন। যথারীতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া 22 জন বিধায়ক সহযোগে যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে। এবং মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারের পতন ঘটে। মুখ্যমন্ত্রীর আসন যায় শিবরাজ সিং চৌহানের হাতে। আর এবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন।

কংগ্রেসের কমলনাথ এবং দ্বিগবিজয় সিং এর বিরুদ্ধে বিজেপিতে যাবার পর দীর্ঘদিনের চেপে রাখা ক্ষোভ এবার প্রকাশ্যে আসলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রকাশ্যে কংগ্রেসের প্রধান দুই নেতা কমলনাথ এবং দ্বিগবিজয় সিংকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা করেছেন কংগ্রেসের এই দুই নেতা। তীব্র আক্রমণ করেছেন এদিন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জয়ের পর থেকেই কমলনাথের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমাগত বেড়ে গিয়েছিল জ্যোতিরাদিত্যর। একসময় দূরত্ব বাড়ার কারণে জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসে রীতিমতো নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের পর কমলনাথের সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্যর সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ততার রূপ নেয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং তাঁর অনুগামীরা। এবং তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে রাতারাতি কমলনাথ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতা হাতে যায় বিজেপির। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শিবরাজ সিং চৌহান। প্রসঙ্গত, আগামী তেশরা নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে হতে চলেছে বিধানসভা উপনির্বাচন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শুরু করেছেন বিজেপির হয়ে প্রচার। খুব স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের ওপর তিনি চাপ বাড়িয়ে চলেছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। উপরন্তু কংগ্রেস নেতা কমলনাথ এর মন্তব্য রীতিমতো বিতর্ক তৈরি করেছে।

সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও মতের মিল হয়নি কমলনাথের। অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেস শিবির এবার নতুন করে সেজে উঠতে চলেছে। তবে সব মিলিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যেভাবে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রকাশ্যে, তা কিন্তু মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শিবিরকে যথারীতি অস্বস্তির মুখে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মধ্যপ্রদেশের জনগণের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় আর সেই জনপ্রিয়তার নিরিখেই নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়ছে কংগ্রেস শিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!