এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপিতে যোগ দিয়েই অ্যাসিড টেস্টের মুখোমুখি হেভিওয়েট নেতা! ‘ভয়’ শুধু পুরোনো বন্ধুকেই!

বিজেপিতে যোগ দিয়েই অ্যাসিড টেস্টের মুখোমুখি হেভিওয়েট নেতা! ‘ভয়’ শুধু পুরোনো বন্ধুকেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিতে স্থায়িত্ব বলে কিছু নেই। একসময় কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এমন কাজ সচিন পাইলটও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি থেকে গিয়েছেন কংগ্রেসে।এদিকে মধ্যপ্রদেশের ভোটের প্রচারে নেমেছেন সচিন পাইলট জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিপক্ষে। এরফলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দিয়েই বড়োসড়ো লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাকে মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে বিরাট লড়াইয়ের সাম্ম্যুখিন হতে হচ্ছে। যে লড়াই একাধারে গদি রক্ষা, সন্মান রক্ষা ও আনুগত্য প্রমাণের তীব্র লড়াই।

অন্যদিকে, গত ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা লাভ করেছিল কংগ্রেস। সেসময়ে কংগ্রেসের এক শক্তিশালী মুখ ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি অভিযোগ করেছেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ও কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এর যোগসাজশে কারণে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বলি হতে হয়েছে তাঁকে। দলে সঠিক জায়গা তাঁর মেলেনি। এ সময় থেকেই দলের মধ্যে বিরোধ শুরু হয় তাঁর। এরপর গত ২০১৯ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগদান করেন, তাঁর অনুগামী বহু কংগ্রেস বিধায়ক। একারণেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয় কংগ্রেস।

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ২৮ টি আসনে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।এর মধ্যে ৬ টি আসন আগেই খালি হয়ে গিয়েছিল। বাকি ২২ টি আসনের সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরা কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তবে আটটি আসনে উপনির্বাচনের জয়লাভ করলেই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে বিজেপি। এক্ষেত্রে সিন্ধিয়া বিরোধীদের খুঁজছে কংগ্রেস এই উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে। এর মধ্যে আবার সচিন পাইলটকে সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে প্রচার নামাতে উদ্যোগী হয় কংগ্রেস।

এই উপনির্বাচনে ২৮ টি আসনের মধ্যে ১৬ টি আসন রয়েছে গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকায়।যে এলাকা আবার সিন্ধিয়া গড় হিসেবে পরিচিত। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে বিজেপির জন্য প্রয়োজন ৮ টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস যদি ১৬ টি আসনে জয়লাভ করতে পারে, তবে কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারবে। এ কারণেই কংগ্রেসের প্রচারে নামানো হয়েছে সচিন পাইলটকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক দল ভিন্ন হলেও পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্বে চির ধরাতে রাজি নন পাইলট। চম্বলের মাটিতে নিজের প্রথম জনসভায় যা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। পুরনো বন্ধুকে সরাসরি আক্রমণ না করে সচিন পাইলট জানালেন, ” জনগণ জানে কেন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি আমার দলের হয়ে প্রচারে এসেছি। আমার পুরোনো সহকর্মী তাঁর দলের হয়ে প্রচার করছে। এরপর মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

অন্যদিকে সচিন পাইলটকে সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে প্রচার করার পেছনে কংগ্রেসের আরো একটি উদ্দেশ্য আছে। কংগ্রেস এ বিষয়ে বোঝাতে চাইছে যে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের সমস্যার কথা যদি কংগ্রেসের হাইকমান্ডকে জানান, তাহলে সচিনের মতো তাঁকেও দলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। তবে এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সিন্ধিয়াকে সরাসরি আক্রমণ না করে জানালেন, ” আমাদের দলে সব কিছুর নিয়ম আছে। কংগ্রেস সভাপতি আণার কথা শুনেছেন, তাই আমি খুশি।”

অন্যদিকে মদ্যপ্রদেশের এই উপনির্বাচন কি কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই হতে চলেছে? এই প্রশ্নের জবাবে সিন্ধিয়া জানালেন যে, এই উপনির্বাচনের লড়াই প্রতিটি বিজেপি কর্মীর লড়াই। সংঘবদ্ধভাবে লড়াই করছে বিজেপি। দলের সব নেতাকর্মী ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তিনি যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন তিনি অনেক গোষ্ঠী কোন্দল দেখেছিলেন। কিন্তু এখানে কোন গোষ্ঠী কোন্দল লক্ষ্য করছেন না তিনি। সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে বড়োসড়ো লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!