এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিতে কি আসছেন শুভেন্দু? অমিত শাহর হাত ধরেই কি যোগদান, মুখ খুললেন কৈলাশ!

বিজেপিতে কি আসছেন শুভেন্দু? অমিত শাহর হাত ধরেই কি যোগদান, মুখ খুললেন কৈলাশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অমিত শাহের বঙ্গ সফরের আগে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর আচার-আচরণ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন সভায় উপস্থিত থাকলেও, সেখানে দল কিংবা নেত্রীর নাম উচ্চারণ করতে দেখা যাচ্ছিল না রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। শুধু তাই নয়, নাম না করে নিজের দলের কোনো কোনো নেতাকে পরোক্ষে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতা বলেও দাবি করেছিলেন একাংশ।

আর এমত পরিস্থিতিতে অমিত শাহ বাংলায় আসলে তার হাত ধরে তৃণমূলের কোনো হেভিওয়েট মন্ত্রী যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এই তালিকায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম আছে কিনা, তা নিয়েও তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। অবশেষে এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগ নিয়ে সমস্ত জল্পনাকে এদিন নস্যাৎ করে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

এদিন এই প্রসঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “বিষয়টি তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে রাজ্যের বহু সিনিয়র তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে চান। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসার রাজনীতির কারণে তারা ভয় পাচ্ছেন।” অর্থাৎ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র এই কথায় কার্যত স্পষ্ট যে, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এতদিন জল্পনা চললেও, তিনি যে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল।

স্বভাবতই এই ঘটনায় একটা বিষয় নিশ্চিত হয়ে গেল যে, শুভেন্দু অধিকারী নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে যেদিকেই নিয়ে যান না কেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই কথায় তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক কর্মীরা যারা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন, তারা অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ সকলেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সংশয়মূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। যেখানে দিলীপবাবু বলেছিলেন, “ইতিমধ্যেই অনেককে নেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী একটি দলের নেতা, মন্ত্রী। ওনাদের সমস্যা ওনাদের। বিজেপি তাদের পার্টি নিয়ে ব্যস্ত আছে।” অন্যদিকে যাদের যোগ্যতা আছে, যারা মানুষের উপকার করতে চায়, তারা বিজেপিতে যোগ দিলেই স্বাগত বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। আর একধাপ এগিয়ে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।

স্বাভাবিকভাবেই একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর আচার-আচরণ এবং অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের একের পর এক মন্তব্যে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, অমিত শাহ যখন রাজ্যে আসছেন, তখন তার হাত ধরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের সম্ভাবনায় প্রথম থেকেই নস্যাৎ করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

শুভেন্দুবাবু তৃণমূলেই থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিশির অধিকারী। তবে এই ব্যাপারে কোনো মুখ খোলেননি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত অমিত শাহের সফরের মাঝে সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা চললেও, তাতে কার্যত জল ঢেলে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!