এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপিতে পদ পেতেই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী সৌমিত্র খাঁ, বাঁকুড়ার গেরুয়া দুর্গে খুশির হাওয়া

বিজেপিতে পদ পেতেই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী সৌমিত্র খাঁ, বাঁকুড়ার গেরুয়া দুর্গে খুশির হাওয়া


আর এক বছর মাত্র সময়, তারপরেই রাজ্যে আসতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নতুন করে তাঁদের সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল করল। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে বড়োসড়ো সাফল্যের কথা মাথায় রেখে এবার বিধানসভা নির্বাচনেও একইভাবে সাফল্য পাওয়ার জন্য আটঘাট বেঁধে রাজনৈতিক ময়দানে নামল গেরুয়া শিবির। বলা যায়, জোরকদমে বিজেপি নিজেদের ঘর গোছাচ্ছে। আর এবার বিজেপি শিবিরের যে রাজনৈতিক নেতার দিকে বার বার চোখ যাচ্ছে, তিনি হলেন ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা সৌমিত্র খাঁ।

রীতিমতো বিতর্কিত এবং ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবে তাঁকে চেনে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা। বলা যেতে পারে, যে দলেই যান না কেন নিজের কাজের প্রতি একনিষ্ঠ মনোভাবের জন্যই প্রত্যেক শিবিরে তিনি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করেছেন। প্রথম জীবনে তিনি জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং সেখানে তিনি যুব সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। এরপরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের আঙিনায় পা দিয়ে সেখানেও তিনি যুব সভাপতির আসনটি অধিগ্রহণ করেন।

এরপর সৌমিত্র খাঁ গেরুয়া শিবিরে পদার্পণ করেন এবং সেখানে সাংগঠনিক রদবদলের কারণে তিনি এবার বাংলার বিজেপি যুব সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে জানা গেছে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে তিনটি দলের যুব সংগঠনের দায়িত্ব সামলে রীতিমতো বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে উঠেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বর্তমানে সৌমিত্র খাঁ বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি দুর্লভপুর এর বাসিন্দা। জানা যায়, তিনি অন্তত ছটি ভাষায় অনর্গল কথা বলে যেতে পারেন। শিক্ষার ছাপ তাঁর সর্বত্র।

আর তাই রাজনীতির জগতে পা রাখতেই নিজের জন্য আলাদা একটি জায়গা করে নিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। কলেজ ছাড়ার পর তিনি জাতীয় কংগ্রেসের যোগ দেন। সেখানে 2009 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদকের পদ সামলেছেন তিনি। 2011 সালে যখন রাজ্যে পালাবদল হয়, সেসময় তিনি কংগ্রেসের টিকিটে কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদে আসীন হন। এরপর রাজ্যে উল্লেখযোগ্য পালাবদল হয় এবং তৃণমূল কংগ্রেস শাসন ক্ষমতায় আসে। 2014 সালে সৌমিত্র খাঁকে তৃণমূলে নিয়ে আসেন তৎকালীন তৃণমূল কমান্ডার মুকুল রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে বছরই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সৌমিত্র খাঁ জয় লাভ করে দেশের সংসদ ভবনে পা রাখেন বিধায়করূপে। তিনি এই সাফল্যের কারণে পরবর্তীতে 2015 সালে দলের যুব সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসেন। সৌমিত্র খাঁ এরপর আবারো দলবদল করেন। তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই তাঁকে বিজেপি শিবিরের প্রার্থী হিসেবে দেখা যায় এবং বরাবরের মতো জয়লাভ করে তিনি বিষ্ণুপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন।

যদিও তাঁকে ঘিরে বিতর্কও কম হয়নি। একটা সময় বিষ্ণুপুর এলাকায় প্রবেশের ওপর তাঁর আইনত বাধা ছিল বলে জানা যায়। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত বাধা কাটিয়ে তিনি ভোট যুদ্ধ জয় করেন। আর এবার আগামী দিনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যা পাখির চোখ পড়েছে বিজেপি শিবির, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে এবার বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল করা হলো। আর সেই রদবদলের হাত ধরেই বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি তালিকায় বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির দায়িত্বে আসলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর সৌমিত্র খাঁ এর ওপর যে কেন্দ্রীয় দলের কর্তাব্যক্তিদের নজর ছিল তা এই সিদ্ধান্তে প্রকাশ হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এবার গেরুয়া শিবিরের নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হলো পশ্চিমবঙ্গে। আগামী দিনের রাজনৈতিক রদবদল করতে বিজেপি শিবির যে কতটা বদ্ধপরিকর তা তাদের বিভিন্ন কাজে কর্মে প্রকাশ পেয়েছে আগেই। আপাতত সাংগঠনিক রদবদলের হাত ধরে বিজেপি শিবিরে নতুন চমক।

আগামী দিনে হয়তো আরো নতুন কিছু অপেক্ষা করছে রাজ্যবাসীর জন্য বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে। তবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পশ্চিমবঙ্গের গেরুয়া শিবিরের যুব সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়া মানে এবার কিন্তু গেরুয়া শিবিরের যুব সংগঠন খোলনলচে পাল্টে উঠে দাঁড়াবে। এই একই মত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও। অন্যদিকে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মত, গেরুয়া শিবিরে সৌমিত্র যে কাজের দায়িত্ব পেলেন তা নিঃসন্দেহে তৃণমূল দলে চিন্তা জাগাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!