কালো টাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে অনিচ্ছুক কেন্দ্র সরকার,বাড়ছে জল্পনা আন্তর্জাতিক জাতীয় July 24, 2018 কালো টাকা নিয়ে আমজনতার কৌতূহল বরাবরই তুঙ্গে । ২০১৬-তে মোদী সরকার এই কালো টাকা রুখতেই নোটবন্দি-র মতো বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল। অথচ এই সরকাররেই কালো টাকা সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে আনতে তীব্র আপত্তি দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ২০১১ সালে ইউপিএ সরকার দিল্লির ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিস’-সহ তিনটি সংস্থাকে কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই মতো দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয়দের কালো টাকার পরিমান,তার সমস্ত তথ্য বিস্তারে সংগ্রহ করেছিল ওই সংস্থাগুলো। সেই তথ্য সম্বলিত রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে অর্থমন্ত্রকের কাছে। জানানো হয়েছে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিকেও। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই সরকার সমস্ত বিষয় তদারকও করেছে। অর্থাৎ দেশে বিদেশে কত কালো টাকা আছে, তার পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে আছে। তবুও সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর এক সাংবাদিক কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, এই মুহূর্তে এই তথ্য জানানো যাবে না। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গেই বিরোধী রাজনৈতিকমহল সহ আমজনতার মধ্যেও তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। তথ্য না জানানোর কারণ হিসাবে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয়দের কালো টাকার সঠিক পরিমান সংক্রান্ত তথ্য এখনো সম্পূর্ণ রূপে হাতে আসেনি অর্থমন্ত্রকের। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সমীক্ষা চালিয়ে অনুমান করা হয়েছে মাত্র। সরকারি কোনো বিবৃতি না থাকার কারণেই এই মুহূর্তে কালো টাকা সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সাধারন মানুষের তথ্য জানার অধিকার থাকলেও সংসদ বা দেশের স্বাধীকার ভঙ্গ করে খবর প্রকাশ না করার অধিকার কেন্দ্র সরকারের আছে। এমনটাই জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। আপনার মতামত জানান -