লকডাউন শিথিল হতেই নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ব্যাপক কালোবাজারি শুরু! চিন্তা বাড়ছে বাংলায় উত্তরবঙ্গ রাজ্য May 17, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ। আরে নকডাউন থেকে ওঠার পর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে যখন চিন্তিত সকলে ঠিক তখনই কালোবাজারির ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এল সূত্রের খবর, এবার বাড়ি তৈরীর নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শুরু হল ব্যাপক কালোবাজারি। যার ফলে এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। জানা গেছে, এতদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রতি বস্তা সিমেন্টের দাম ছিল 340 টাকা। কিন্তু এখন তা কিনতে হচ্ছে 600 টাকা দিয়ে। অন্যদিকে এতদিন হাজার ইটের দাম ছিল দশ হাজার টাকা। কিন্তু এখন তা বেড়ে হয়েছে 14 হাজার টাকায়। আর লকডাউনের মুহূর্তে যখন মানুষের রুজি রোজগার বন্ধ, ঠিক তখনই এভাবে বাড়ি তৈরির সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, বর্তমানে সরকারের তরফে গৃহনির্মাণে ছাড় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতেই অনেক মানুষ তাদের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু কালোবাজারির জন্য সিমেন্ট এবং ইটের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা অনেকটাই সমস্যায় পড়ছেন। অনেকের আশঙ্কা, বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই কালোবাজারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর তার ফলেই বাড়ি নির্মাণ তৈরির সামগ্রীর দাম হু হু করে বাড়ছে। একদিকে মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যখন তলানীতে, তখন এভাবে ইট, সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়া মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। কেন এখনি পর্যন্ত প্রশাসন এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব ঘোষ বলেন, “আমাদের কাছে এই নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। যদি কোনো ব্যবসায়ী কালোবাজারি করে এবং কোনো অভিযোগ জমা পড়ে, তবে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি কারা নির্মাণ সামগ্রী গোডাউনে মজুত করে এমন কালোবাজারি করছে, সেই নিয়ে তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ নেব।” তবে অতিরিক্ত জেলাশাসক একথা বললেও, সাধারণ মানুষের চোখের সামনে যেভাবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের রমরমা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে প্রশাসন যদি অবিলম্বে সক্রিয় না হয়, তাহলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন লকডাউনের মুহূর্তে মানুষকে স্বস্তি দিতে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বৃদ্ধির যে বাড়বাড়ন্ত, তা কমাতে প্রশাসনিক উদ্যোগ কতটা সাফল্য পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -