এবার নগ্ন ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেলে নাম জড়ালো হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের ছেলের! বাড়ছে অস্বস্তি কলকাতা রাজ্য May 8, 2020 করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ছে, ঠিক তখনই একটি ঘটনায় প্রবল বিপাকে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা গেছে, নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং সেই ঘটনার স্বীকারোক্তিতে একটি স্ক্রিনশট গত বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হতে শুরু করেছিল। আর এবার সেই ঘটনা ধরেই কলকাতার একটি চক্র প্রকাশ্যে চলে এল। যার ফলে এখন প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, এই যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক বিজেপি নেতার ছেলে এবং তার এক বন্ধুর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লির 15 বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষনের ব্যাপারে কলকাতার এক মহিলা মুখ খোলেন। যেখানে তিনি বলেন, একটি চক্র বহু বছর ধরে গোপনে এই ব্যাপারে কলকাতায় তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সৌরদ্বীপ বাসাক নামে একটি যুবক। যে গত 2016 সালে প্রথম একটি গুগল ড্রাইভ তৈরি করে। কিন্তু এই চক্র ঠিক কীভাবে তাদের কাজ চালাত? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, বেশ কিছুদিন ধরে কিছু মহিলার সঙ্গে কথা বলার পর তারা সেই মহিলাদের প্রেমের প্রস্তাব দিত। আর সেখান থেকে সম্মতি পাওয়া গেলেই সেই মহিলার কাছে নগ্ন ছবি চাইত সেই যুবকরা। যার পরেই সেই ছবি ড্রাইভে আপলোড করে দেওয়া হত। তবে যদি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করত, সে ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তাদের মুখে ব্যবহার করে অন্য কারও নগ্ন সরিয়ে বসিয়ে দেওয়া হত। আর এরপর থেকেই হুমকি দেওয়া হত সেই মহিলাদের। আর এই ঘটনাতেই এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন অভিযুক্তদের তালিকায় নাম পাওয়া যাচ্ছে বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের ছেলের। জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া অভিযুক্তদের তালিকার মধ্যে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতার ছেলে যশপ্রকাশ মজুমদার, ইমনকল্যাণ ঘোষ, শ্রেয়ন চট্টোপাধ্যায়, দিব্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বর্তমান এবং প্রাক্তন পড়ুয়ারা। আর বিজেপি নেতাদের ছেলেদের এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি যে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেল সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আয়ুশ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আর তাছাড়া এখনো পর্যন্ত বিজেপি নেতারাও এই নিয়ে মুখ খোলেননি। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি এর ফলে কতটা চাপে পড়ে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -