এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গেরুয়া শিবিরে চূড়ান্ত ডামাডোল? এবার নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে নামছে বিজেপির সংগঠন

গেরুয়া শিবিরে চূড়ান্ত ডামাডোল? এবার নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে নামছে বিজেপির সংগঠন


বিজেপি একটি সাংগঠনিক শৃঙ্খলাপরায়ন দল বলে মাঝেমধ্যেই দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এমনকি বাস্তবেও বিজেপির অন্দরে তেমনভাবে অন্তর্কোন্দল দেখা যায় না। তবে যে দল এতটা শৃঙ্খলা পরায়ন বলে দাবি করে, এবার সেই ভারতীয় জনতা পার্টির এক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে শ্রম আইন তুলে দেওয়ার প্রতিবাদ রীতিমত নজর কাড়ছে সকলের। সূত্রের খবর, আগামী 20 মে আরএসএস অনুমোদিত ভারতীয় মজদুর সংঘের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করা হবে।

যেখানে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্যগুলোতে এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। আর বিজেপির সংগঠন হয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় মজদুর সংঘের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বিজেপির অস্বস্তিকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জানা গেছে, যে সমস্ত রাজ্যে এই প্রতিবাদ সংঘটিত হবে, তার মধ্যে বেশিরভাগ রাজ্য বিজেপির দখলে রয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে গোয়ার মত রাজ্যগুলোতে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর। কিন্তু ঠিক কী কী ব্যাপারে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হবে? সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট তিনটি ধাপে প্রতিবাদ করা হবে। মূলত বেতন না দেওয়া, কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া, পরিযায়ী এবং কনথিভুক্ত শ্রমিকদের ত্রাণের ব্যবস্থা, ইত্যাদি বিষয়ে আগামী 16 থেকে 18 মে বিএমএসের রাজ্য ইউনিটগুলো জেলা আধিকারিকদের কাছে চিঠি দেবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরেই জেলাস্তরে বিভিন্ন শিল্প তালুকে সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে প্রতিবাদ করবে এই সংগঠন। পরবর্তীতে 30 এবং 31 মে ভারতীয় মজদুর সংঘ শ্রম আইনের পরিবর্তনের বিরোধিতা করে ক্ষেত্রভিত্তিক প্রতিবাদ সংগঠিত করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে ভারতীয় মজদুর সংঘের প্রধান বীর্যেশ উপাধ্যায় বলেন, “কাজের সময় 8 ঘন্টা থেকে 12 ঘন্টা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু রাজ্য এটা অনুসরণ করতে চলেছে। তা কখনও ইতিহাসে শোনা যায়নি এবং এমনকি এটা চরম অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেও বিরল ঘটনা।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যুটা এতটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেল, তার কারণ বেশিরভাগ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের আইন মানা হয় না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ করলে তাও না হয় মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু বিজেপিরই এক সংগঠনের পক্ষ থেকেই যেভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেও এই ইস্যুতে প্রতিবাদ করা হল, তাতে সেই রাজ্যগুলো যেমন চাপে পড়বে, ঠিক তেমনই কেন্দ্রের শাসক দল এর ফলে অনেকটাই চাপে করবে।

পাশাপাশি দলগতভাবেও ভারতীয় জনতা পার্টি এতে ব্যাকফুটে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই ঘটনা কার্যত অভূতপূর্ব। এই ধরনের প্রতিবাদ সাধারণত দলের অন্তর্বর্তী আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু যেভাবে এক গেরুয়া সংগঠন এবার পথে নেমে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চলেছে, তাতে আগামীদিনে ঘুম উড়তে পারে মোদী-শাহর। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!