এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বেদনা ভুলে প্রার্থীর হয়ে প্রচার! নাকি সম্পূর্ণটাই নাটক? যুব সভাপতির অবস্থান নিয়ে ধন্দে বিশেষজ্ঞরা!

বেদনা ভুলে প্রার্থীর হয়ে প্রচার! নাকি সম্পূর্ণটাই নাটক? যুব সভাপতির অবস্থান নিয়ে ধন্দে বিশেষজ্ঞরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অনেক আশা করেছিলেন তিনি। দলের সর্বস্তর থেকে শোনা গিয়েছিল, কুশমন্ডি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি অম্বরিশ সরকার। বঙ্গধ্বনী যাত্রা থেকে শুরু করে দলের সমস্ত কর্মসূচিতে কুশমন্ডি বিধানসভার প্রধান কান্ডারী ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি‌। যার ফলে একপ্রকার ধরেই নেওয়া হয়েছিল, কুশমন্ডি বিধানসভায় এবার তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন অম্বরিশবাবু।

এমনকি তিনি নিজেও যে এই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন এবং প্রচার জোরকদমে চালিয়ে যেতে শুরু করেছিলেন, তা বলাই যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দিনেই যেন মাথায় ছাদ ভেঙে পড়ল অম্বরিশ সরকারের। এবার কুশমন্ডি বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে রেখা রায়কে।

স্বাভাবিক ভাবেই এরপর থেকেই অম্বরিশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। জেলার যুব সংগঠন সামলানো অম্বরিশ সরকার কুশমন্ডি এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু তিনি সেভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে করছেন না বলে নানা স্তর থেকে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। যদিও বা মুখে অম্বরিশ সরকার বলছেন, জেলার 6 টি আসনই তৃনমূল কংগ্রেস দখল করবে।

একাংশ বলছেন, অম্বরিশবাবু মুখে যে কথাই বলুন না কেন  প্রার্থী না হওয়ার কারণে তিনি যে কিছুটা হলেও হতাশ তা বলাই যায়। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে যেভাবে দলের নানা কর্মসূচিতে কুশমন্ডি এলাকায় প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাকে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সেভাবে আর তাকে দেখা যাচ্ছে না। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তিনি ছুটোছুটি করে বেড়ালেও নিজের বিধানসভা কেন্দ্র দখলে অতটা উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে না জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, দলীয় স্বার্থ রক্ষা করতে অম্বরিশ সরকার হয়ত বা প্রচার করছেন। কিন্তু এতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মুখে হাসি রেখে মনের অনিচ্ছাকে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি। আর সেই কারণে প্রচার প্রক্রিয়ায় সামনের সারিতে থাকলেও কুশমন্ডি বিধানসভায় রেখা রায় প্রার্থী হওয়াতে তার বুকের বেদনা যে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা নিশ্চিত।

তবে কুশমন্ডিতে অম্বরিশ সরকারের এই ধরনের আচরণ নিয়ে যতই সমালোচনা হোক না কেন, তাকে উড়িয়ে দিতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই দিতে প্রস্তুত। অম্বরিশবাবু জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি। তাই জেলার যুবদের সংগঠিত করতে কুশমন্ডি বিধানসভার পাশাপাশি জেলার প্রতিটি স্তরে তিনি কর্মসূচি চালাচ্ছেন। তার পক্ষে একা যে কোনো একটি বিধানসভায় সময় দেওয়া সম্ভব না। তাই বিভিন্ন জায়গায় তাকে ছুটোছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি যদি নিজের গড়েই ঘাসফুল ফোটাতে না পারেন, তাহলে তার অস্তিত্ব নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। সেদিক থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি যে শুধুমাত্র প্রার্থী না হওয়ার কারণেই নিজের খাসতালুক কুশমন্ডিতে দলীয় প্রার্থীর স্বপক্ষে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে কিছুটা নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। তবে এই গুঞ্জন বা জল্পনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!