এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “বোর্ড” তুমি কার? ক্ষমতা দখল নিয়ে মাদার-যুবর তীব্র গোষ্টীদ্বন্দ্ব উত্তর ছাড়িয়ে হানা দিল দক্ষিনবঙ্গেও

“বোর্ড” তুমি কার? ক্ষমতা দখল নিয়ে মাদার-যুবর তীব্র গোষ্টীদ্বন্দ্ব উত্তর ছাড়িয়ে হানা দিল দক্ষিনবঙ্গেও

রাজ্যে উন্নয়নের ছোঁয়ায় যখন উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিনবঙ্গকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তখনই সেই শাসকদল তৃনমূল কর্মীদের দৌলতে রাজ্যে আমদানি হচ্ছে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে শাসক বনাম শাসকের লড়াই। যা উন্নয়নকে হার মানিয়ে প্রতিনিয়ত উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। পঞ্চায়েত হোক বা পঞ্চায়েত সমিতি প্রধান পদে পদে কে বসবেন তা নিয়ে উত্তরবঙ্গে শাসকদলের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে দক্ষিনবঙ্গে যাতে তা না হয় তার জন্য সব চেষ্টাই করেছিল তৃনমূল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রধান পদ নিয়ে এবার দলীয় অন্তর্কোন্দলে তীব্র বিশৃঙ্খলা ছড়াল দক্ষিন 24 পরগনার ক্যানিং 1 পঞ্চায়েত সমিতিতে।

সূত্রের খবর, আগামী 24 সেপ্টেম্বর এইখানে বোর্ড গঠনের কথা রয়েছে। জানা যায়, তৃনমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী এবং এই ব্লকেরই তৃনমূল যুব সভাপতি পরেশ দাস গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। বোর্ড গঠনেও তাঁদের সেই বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। যুবর পরেশ দাস তাঁর বউদি সভাপতি হিসাবে চাইলেও তা মানতে নারাজ মূল সংগঠনের শৈবাল লাহিড়ীর গোষ্ঠী । আর তাই সেই শৈবালবাবু নিজের 24 জন সদস্যকে গোপন ডেরায় রেখেও এসেছেন। অন্যদিকে পরেশ দাসের দখলে আছে মোটে পাঁচ সদস্য। কিন্তু এইভাবে দলীয় সদস্যদের গোপন ডেরায় রেখে আদতে কি দল সম্পর্কে জনমানসে খারাপ বার্তা পৌছোচ্ছে না? এদিন সেই প্রসঙ্গে তৃনমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন, “পরেশ দাস ও তাঁর দাদা উত্তম দাস এলাকায় সমাজবিরোধীদের নিয়ে সন্ত্রাস এবং বোমাবাজি করছে। যাতে বোর্ড গঠনে কেউ না আসতে পারে।” এদিন এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি জেলাপরিষদে তাঁকে হারাতে এই পরেশ দাস ও তাঁর অনুগামীরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ আনেন এই শৈবাল লাহিড়ী।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে করা সমস্যত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে যুবর ব্লক সভাপতি পরেশ দাস বলেন, “বিধায়ক শ্যামল মন্ডল এবং শৈবাল লাহিড়ীর অনুগামীরাই গন্ডগোল ছড়াচ্ছে। শৈবালবাবু নিজের অনুগতদের এই সভাপতি পদে বসাতে চাইছেন। আর তা অনেকে না মানাতেই ওরা সিপিএমের মত বন্দুকের রাজনীতি করছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এই দক্ষিন 24 পরগনায় এখন “জোর যার মুলুক তার” মত অবস্থা। একেই তৃনমূলের জেলা সভাপতি কে তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন দলের কর্মীরাই। ফলে নেতা না থাকায় বোর্ড গঠনে কর্মীদের বিবাদ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!