বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র মালদা, প্রাণ গেল ২ জনের, জখমের তালিকায় শিশুরাও মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য August 28, 2018 “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, আর উলুখাগড়ার প্রানটি যায়”- প্রবাদপ্রবচনের এই কথাটি শুনতে বড় তিক্ত লাগলেও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে এইরকমই অবস্থা এই বঙ্গভূমিতে। কোথাও শাসক বনাম শাসকের লড়াই তো কোথাও আবার বিরোধীর সাথে শাসকের সংঘাত। আর যার জেরে প্রান হাতে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে বিভিন্ন দলের নীচুতলার কর্মী থেকে সাধারন মানুষদের। এবার ঘটনাস্থল মালদহ। সূত্রের খবর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে প্রধান পদ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শাসকেরই দুটি গোষ্টীর সংঘর্ষে মানিকচকে গুলির আঘাতে দুই তৃনমূল কর্মী বছর 32 এর সালাম শেখ এবং বছর 65 র আজহার শেখের মৃত্যুর পাশাপাশি জখম হল একটি সাত বছরের শিশু জিহান শেখ সহ পাঁচজন ব্যাক্তি। ইতিমধ্যেই মাথায় বোমার আঘাত লাগায় সেই শিশুকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিও করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে একে অপরের প্রতি দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালাও। বিরোধীরা শাসকদলের গোষ্টীসংঘর্ষেই এই ঘটনা বলে দাবি করলে জেলা তৃনমূলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “দলে কোনো গোষ্টীদ্বন্দ্ব নেই। কংগ্রেস স্থানীয় কিছু লোককে উস্কে দিয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।” পাশাপাশি জেলার গাজোল, হবিবপুরের মত এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপিকে বিধেছে শাসকদল। যদিও বা সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। এ প্রসঙ্গে মানিকচকের কংগ্রেস বিধায়ক মোক্তাকিন আলম বলেন, ” যেখানে কংগ্রেসের বোর্ড গড়ার দাবিই নেই, সেখানে তারা গন্ডগোলে জড়াতে যাবে কেন?” পাশাপাশি শাসকদলই বিজেপির ওপর হামলা করেছে বলে জানান জেলা বিজেপির প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায়। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে ইতিমধ্যেই এই মানিকচকের ঘটনায় পুলিশ পিকেট বসানোর পাশাপাশি শুরু হয়েছে তদন্তও। তবে জেলায় এখনও পর্যন্ত কতগুলি বোর্ড গঠন হয়েছে! এদিন সেই প্রসঙ্গে মালদহের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুকান্ত সাহা বলেন, “জেলার 36 টি র মধ্যে 35টিতে বোর্ড গঠন হয়েছে। শুধু গাজোলেই এই বোর্ড গঠন স্থগিত রাখা হয়েছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, সবে তো পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন শেষ হল। এরপর তো পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদ বাকিই আছে। ফলে সেগুলিতেও এইরকম সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে এবং তাকে রোধ না করতে পারলে চরম বিপাকে পড়বে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। আপনার মতামত জানান -