এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ববি-সুব্রতদের গ্রেপ্তারিতে কষ্টে বুক ভেঙে যাচ্ছে অধীর চৌধুরীর? সোশ্যাল বার্তা ঘিরে জল্পনা

ববি-সুব্রতদের গ্রেপ্তারিতে কষ্টে বুক ভেঙে যাচ্ছে অধীর চৌধুরীর? সোশ্যাল বার্তা ঘিরে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যে যখন করোনার সংক্রমণ চলছে, সেই সময় এই ধরনের গ্রেপ্তারি কতটা যুক্তিযুক্ত? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এমন বক্তব্য একাধিক প্রশ্ন ও জল্পনার সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অধীর চৌধুরীকে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, নারদ কান্ডের তদন্তে সিবিআই রাজ্যের বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রীদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত চলছে, বিচারব্যবস্থা সমস্ত কিছু ঠিক,কিন্তু তদন্ত করার সময়, গ্রেফতার করার সময় একটা বিশেষ পরিস্থিতিকে কখনো অস্বীকার করা যায় না। তিনি জানালেন, রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষকে সেবা করার প্রয়োজন আছে। একে অপরকে দেখভাল করার যখন প্রয়োজন আছে। সেই সময় এই ধরণের গ্রেপ্তারি তাঁর মনে যথেষ্ট প্রশ্ন এনেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নারদ কান্ডের তদন্তে সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হলো না এই প্রসঙ্গের অবতারণাও পরোক্ষভাবে করতে দেখা গেল অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে, কাউকে ছেড়ে দেয়া হবে, এটা কখনোই গ্রেপ্তারির নিয়ম হতে পারে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও জানালেন, রাজ্যে যখন করোনার সংক্রমণ চলছে, তখন এই ধরনের গ্রেপ্তারি করার দরকার সিবিআই এর আদৌ প্রয়োজন ছিল কিনা? দু দিন পরে এই গ্রেপ্তারি করা যেত কিনা? কিংবা দুদিন আগেই তা করা যেত কিনা? এগুলি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল বিরোধী বলে পরিচিত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলের বিরোধীতা করেছেন তিনি বহুবার। কিন্তু এবার গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-মন্ত্রীদের প্রতি তাঁর সহমর্মিতা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনে যে ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস, এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতের পরিবর্তে সহাবস্থান করতে পারে কংগ্রেস। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় সম্প্রতি একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের যেভাবে পড়াজয় এসেছে, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধাচারণ থেকে কিছুটা সরে আসতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!