প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে “মিনি পাকিস্তান ওয়ালা মন্ত্রী” বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা যখন বেজে গিয়েছে। যখন প্রথম দফা নির্বাচন শেষে সবাই দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, ঠিক তখনই সেই ফিরহাদ হাকিমকে “ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল” বলে আক্রমণ করলেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। আর নির্বাচনের মরশুমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা বন্দরের তৃণমূল প্রার্থী সম্পর্কে আব্বাস সিদ্দিকী এই রকম মন্তব্য করায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মেটিয়াবুরুজের বাদামতলায় একটি জনসভায় উপস্থিত হন আব্বাস সিদ্দিকী। আর সেখানেই ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি‌। আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, “ববি হাকিম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল‌। পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে নষ্ট করে দিচ্ছে। ববি হাকিম বলেছিল মেটিয়াবুরুজ মিনি পাকিস্তান। সেটা বলানো হয়েছে। যাতে ওর কথার উপর ভর করে রাজ্যে বিজেপির ঘাটি গড়তে পারে। 2011 সালের আগে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ছিল না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আব্বাস সিদ্দিকী এই ধরনের কথা বলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা সংখ্যালঘু নেতা ফিরহাদ হাকিম অনেকটাই চাপে পড়ে গেলেন। এর ফলে যে ফিরহাদ হাকিম সংখ্যালঘুদের ভোট তৃণমূলের পক্ষে আনার জন্য নানা কৌশল করতেন, আব্বাস সিদ্দিকের কথার পরে তার সম্পর্কে মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের পক্ষে রাখা এবার রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ঘাসফুল শিবিরের কাছে। কেননা সংযুক্ত মোর্চার জোটে আব্বাস সিদ্দিকী নাম লেখানোর কারণে সেই সংখ্যালঘু ভোট বিভাজিত হয়ে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে “ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল” বলে যে মন্তব্য করলেন আব্বাস সিদ্দিকী, তাতে ঝড় উঠতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। নির্বাচনের মরসুমে এই ধরনের অভিযোগ যে শাসক-বিরোধী %